বরফ গলল গোগরা হাইটসে, আরও একটা অংশ থেকে সরে গেল ভারত ও চিনের সেনা
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। গত ৩১ জুলাই দুই দেশের বৈঠকে ভারত ও চিনের মধ্যে এই গোগরা হাইটস নিয়ে কথা হয়। এক বছর ধরে সংঘাত চলার পর অবশেষে লাদাখের বরফ একটু একটু করে গলতে শুরু করেছে।
লাদাখের সংঘাতের ইতি হয়নি এখনও তবে ক্রমে একটার পর একটা পয়েন্ট থেকে সরে যাচ্ছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। এ বার গোগরা হাইটস থেকে সরে গেল দুই দেশের বাহিনী।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে। গত ৩১ জুলাই দুই দেশের বৈঠকে ভারত ও চিনের মধ্যে এই গোগরা হাইটস নিয়ে কথা হয়। এক বছর ধরে সংঘাত চলার পর অবশেষে লাদাখের বরফ একটু একটু করে গলতে শুরু করেছে।
গত ৩১ জুলাই দ্বাদশ বৈঠকে ভারত ও চিনের মধ্যে এই গোগরা হাইটস নয়ে আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, গোগরা হাইটসে যে অবস্থানে দুই দেশের সেনাবাহিনী ছিল, সেখান থেকে তারা সরে এসেছে।
স্থায়ী সেনাঘাঁটিতে দুই দেশের সেনা ফিরে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে থাকা অন্যান্য সমস্যাও দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হবে।
তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন নে ভারত সবসময়ই শান্তি স্থাপনের পক্ষে। এরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হবে। আগেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে, কমান্ডারদের বৈঠকে সেনা সরানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে ভারত ও চিন। পারস্পরিক সহযোগিতার পথে এগোতেও রাজি হয়েছে দুই দেশ।
গোগরা প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৭ এ থেকে সেনা সরানো হয়েছে। ৪ ও ৫ অগাস্ট গোগরা থেকে সেনা সরানো হয়েছে ভলে সূত্রের খবর। গত বছর গালওয়ানে ভারত ও চিন দুই দেশের সেনা সংঘাতের পর থেকেই দফায় দফায় বৈঠকের লাদাখের সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দু'দেশ।
৩১ জুলাই পূর্ব লাদাখের চুসুল মলডো মিটিং পয়েন্টে দুই দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার স্তরের দ্বাদশ রাউন্ডের বৈঠক হয়।
সেই বৈঠকের পরেই গোগরা অঞ্চল থেকে সেনা সরানো হল। বিগত ১৫ মাস ধরে লাদাখে সংঘাতে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও চিন। গালওয়ানে কার্যত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় দুই দেশের মধ্যে। দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা পরিস্থিতি বদলেছে। তবে এর মধ্যে অনেক দিন আলোচনা বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে গত মাসে বৈঠক হয়।
পরে লাদাখে আলোচনা নয়া গতি পায়। এখনও হট স্প্রিংস ও ডেপসাংয়ে সমস্যা বজায় আছে। তবে ডেপসাংয়ে অনেক আগে থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা চিন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে লাদাখে দুই দেশের প্রায় ৫০-৬০ হাজার সেনা আছে। ভারতীয় সেনাকে সীমান্ত রক্ষা করায় সাহায্য করে আইটিবিপি।