তালিকা থেকে বাদ বিদেশি পণ্য, মোদীর দেখানো আত্মনির্ভরতার পথে ভারতীয় সেনা ক্যান্টিন
দেশের ৪ হাজার সেনা ক্যান্টিন এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখানো পথে আত্মনির্ভর হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরাকরের নির্দেশে এবার থেকে বিদেশি পণ্য বাদ পড়তে চলেছে সেনা ক্যান্টিনের তালিকা থেকে। বাদ পড়া পণ্যে বিদেশি মদও স্থান পেতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। বর্তমানে সেনা ক্যান্টিনের বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারের সমান। ১৯ অক্টোবরই নাকি এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশিকা
১৯ অক্টোবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে আর্মি ক্যানটিনগুলির জন্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন জিনিস আর কেনা হবে না। এই বিষয়ে মে এবং জুলাই মাসেই সেনাবাহিনী, নৌ সেনা এবং বায়ু সেনার সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।
দেশের অন্যতম বৃহত্ রিটেল চেইন
সেনাবাহিনীতে বর্তমানে কর্মরতরা আধিকারিক এবং জওয়ান ছাড়াও সেনা ক্যান্টিন থেকে জিনিস কিনতে পারেন অবসরপ্রাপ্ত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও। এই সব ক্যানটিন থেকে বছরে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণের বিক্রি হয়। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১৪ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। দেশের অন্যতম বৃহত্ রিটেল চেইন এই আর্মি ক্যানটিন।
সিএপিএফ ক্যান্টিনেও বিদেশি পণ্য বিক্রি বন্ধ
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে সিএপিএফ ক্যান্টিনেও বিদেশি পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জেরে দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে লকডাউন। এই আবহে দেশের জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য পেশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবেদন জানিয়েছিলেন যে অতিমারীর সুযোগে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে হবে।
মেড ইন ইন্ডিয়া পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত
প্রধানমন্ত্রীর দেখানো আত্মনির্ভরতার দাওয়াই গিলেই শুধু মাত্র মেড ইন ইন্ডিয়া পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আধা-সামরিক বাহিনীর ক্যান্টিনগুলিতে। ১০২৬টি পণ্য যা বিদেশ থেকে আমদানি করা হত, তা সরিয়ে ফেলা হয় সিএপিএফ ক্যান্টিন থেকে। আধা-সামরিক বাহিনীর ক্যান্টিনে বার্ষিক বিক্রি প্রায় ২,৮০০ কোটি টাকা।
লাদাখ সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে ৩ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে নির্মাণ কাজ চিনা সেনার