'জঙ্গি দমনে সীমান্ত পার করতে পিছপা হবে না সেনা', বালাকোট অভিযানের বর্ষপূর্তিতে বড় ঘোষণা
এক বছর আগে আজকের দিনেই পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যায় ভারতীয় সামরিক ইতিহাসের গতি প্রকৃতি। সেই ঘটনার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট করে দাবি করেন, বর্তমানে ভারতীয় সেনা জঙ্গি দমন করতে ও শত্রুকে মারতে সীমান্ত পার করতে পিছপা হবে না।
বায়ুসেনাকে সাহসিকতার জন্য স্যালুট করেন রাজনাথ সিং
টুইট বার্তায় রাজনাথ সিং লেখেন, 'আমি ভারতীয় বায়ুসেনাকে তাদের অপার সাহসিকতার জন্য স্যালুট করছি। আগের যে কোনও সরকারের থেকে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অন্য রকম কায়দায় জঙ্গি দমনে বিশ্বাসী। এখন আমরা সীমান্ত পার করে জঙ্গিদের মারতে দ্বিধা বোধ করি না।'
বালাকোটের জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা
পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনা সাফল্যের সঙ্গে গুঁড়িয়ে এসেছিল বালাকোটের একের পর এক জঙ্গি শিবির। আর সেই ঘটনার এক বছরের পূর্তি আজ। চার দশকে ভারতে বায়ুসেনা যা করতে পারেনি, বালাকোটের এয়ারস্ট্রাইক তা করে দেখিয়েছিল। বালাকোটের মাটিতে ভারত যেখানে হামলা চালিয়েছিল, সেখানে পাকিস্তানের কোনও যুদ্ধবিমান ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল না। এমনই সমস্ত তথ্য রেইকি করেই ভারতীয় বায়ুসেনা ২৬ ফেব্রুয়ারি সাফল্যের সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি জঙ্গি শিবির।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাব ছিল বালাকোট
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাবে পাল্টা অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে ঢুকে জইশ-ই-মহম্মদের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বায়ুসেনার এই অভিযানের পরদিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের আকাশে ঢুকে পড়েছিল পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এফ-১৬। এই বিমানটিকেই সফলভাবে ধ্বংস করেছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পাকিস্তানের হাতে বন্দী হন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পরে অবশ্য পাকিস্তানের থেকে ছাড়া পেয়ে ভারতে ফেরেন তিনি।
ফের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বালাকোটে!
এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে একবছর আগে ধ্বংস হওয়া এই বালাকোট ঘাঁটিতেই ফের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জঙঅগিদের। জঙ্গি দমন শাখার গোয়েন্দারা জানায়, বর্তমানে যেই ২৭ জন জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে ৮ জন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দা। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের দুই আর আফগানিস্তানের তিন জন ট্রেনারের অধীনে এদের প্রশিক্ষণ চলছে। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাবে বলেও জানা গিয়েছে। এর পরই ভারতে হামলা চালাতে এরা সীমান্ত পার করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।