FATF-এর চোখ রাঙানি থোড়াই কেয়ার, কাশ্মীরে জঙ্গিদের অস্ত্র পাচারের চেষ্টা জারি পাকিস্তানের
ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের চোখ রাঙানিতেও শোধরানোর ইঙ্গিত নেই পাকিস্তানের। সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করার পথে ইমরান খানের সরকার যে হাঁটবে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। এবং সেই মতোই ফের কাশ্মীরের বিচ্ছিনতাবাদী সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সর্বরাহ করার চেষ্টা করল পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তানের এই প্রচেষ্টা বিফল করে দেয় ভারতীয় সেনা এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী।
বিদ্রোহের চোটে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি, বিহারে গদি বাঁচাতে আল্টিমেটাম পেশ পদ্ম শিবিরের

বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ভারতে পাচার করার চেষ্টা বানচাল
এদিন পাকিস্তানের থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ভারতে পাচার করার চেষ্টা বানচাল করে সেনা। এদিন কাশ্মীরের উত্তর সীমান্তে কেরান সেক্টরের কাছে এই অস্ত্র পাচারের চেষ্টা বিফল করে সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। এবং এই অস্ত্র পাচারের পিছনে যে পাক সেনার মদত রয়েছে, সেই প্রমাণও মিলেছে এদিনের অপারেশনে।

নেপথ্যে পাক সেনার হাত
এদিন সেনার তরফে ৪টি একে ৭৪ রাইফএল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৪০টি একে রাইফেলের বুলেট বাজেয়াপ্ত করা হয় সীমান্ত থেকে। সেনার তরফে চিনার কর্পসের লেফটেন্যান্ট জেমারেল বিএস রাজু এদিন বলেন, 'আমাদের সেনা তাঁদের অত্যাধুনিক নজরদারির সরঞ্জামের মাধ্যমে এই পাচারের চেষ্টা ধরে ফেলে। পরে সেখানে সেনার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী হানা দিয়ে অস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করে। পাক সেনার এই কীর্তি পিছনে হাত রয়েছে। আমরা ভবিষ্যতেও ভারত বিরোধী এরকম কার্যকলাপ রুখতে বদ্ধপরিকর।'

সেনার যৌথবাহিনীপ অভিযান
জানা যায় কেরান সেক্টরের সীমান্ত বরাবর বয়ে চলা কিষেণ গঙ্গা নদীর ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে জঙ্গিদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। এরপরই কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা সেখানে যৌথ বাহিনী পাঠিয়ে অভিযান চালায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে দড়ির সাহায্যে ২-৩ জন জঙ্গি এই অস্ত্রগুলি ভারতে পাচার করার চেষ্টা করছিল। তখনই সেনা এই অস্ত্র ভর্তি দুটি ব্যাগ উদ্ধার করে।

কুলগামে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইতে খতম দুই জঙ্গি
এদিকে অপর এক ঘটনায় এদিন কুলগামে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইতে খতম হয় দুই জঙ্গি। গতকাল রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় চিনগাম এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। আজ ভোরবেলা এনকাউন্টারে দুই অজ্ঞাত পরিচয় জঙ্গিকে খতম করে নিরাপত্তাবাহিনী। কুলগামের চিনগাম এলাকায় গুলির লড়াই জারি রয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।

পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে
এদিকে ভারত ছাড়াও এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের বিভিন্ন দেশের দাবি, পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘ যখন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেয় তখনই ভারতের পক্ষ থেকে এফএটিএফ-র কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল যে, পাকিস্তানকেও কালো তালিকাভুক্ত দেশগুলোর আওতায় আনা হোক। যদিও পাকিস্তানের বরাবরের অভিযোগ, এফএটিএফ-কে রাজনৈতিক ভাবে চালিত করে পাকিস্তান বিরোধী করে তুলছে ভারত।

এফএটিএফ-এর তালিকায় কোথায় থাকবে পাকিস্তান?
এদিকে ২০১৮ সাল থেকেই পাকিস্তান এফএটিএফ-এর তালিকায় কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্মুখীন। তবে প্রতিটি বৈঠকেই কোনও ভাবে সেই খাদের ধার থেকে ফিরে এসেছে ইমরানের সরকার। তবে এই মুহূর্তে পাকিস্তান ধূসর তালিকায় রয়েছে। চলতি মাসেই পাকিস্তানের মার্কস শিট পেশ করে এফএটিএফ জানাবে যে পাকিস্তান কোন তালিকায় স্থান পাবে। তবে তা সত্ত্বেও পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নয়া সমীকরণ, রামবিলাসের বিদায়ে পরবর্তী কিংমেকারের কে?