লাদাখে আরও শক্তি বাড়বে সেনার, ভারতকে অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠাচ্ছে 'বন্ধু' ইজরায়েলের
ইজরায়েলের লেজার প্রযুক্তির সাহায্যেই ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। এবার সেই ইজরায়েলই ফের ভারতকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। এবার সংঘাতের পরিবেশ চিনের বিরুদ্ধে লাদাখে। লাদাখে চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝেই চিনের সামরিক শক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে ভারত। জানা গিয়েছে, ভারতকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাঠাতে চলেছে ইজরায়েল।

স্পাইস-২০০০ বম্ব
চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের এই আবহে ইজরায়েল থেকে আরও ক্ষমতাশালী স্পাইস-২০০০ বম্ব কেনার কথা আগেই জানিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এই বম্বগুলি বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। স্পাইস কথাটির অর্থ হল স্মার্ট, প্রিসাইজ ইমপ্যাক্ট, কস্ট এফেক্টিভ।

ইজরায়েলি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম
ইজরায়েলি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের শক্তির তারিফ করে সারা বিশ্বই। ইজরায়েলি প্রযুক্তিতে তৈরি সশস্ত্র হেরন ড্রোন লাদাখ সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও আসছে নয়া ড্রোন। পাশাপাশি, ইজরায়েলি স্পাইডার মিসাইলও রয়েছে ভারতী বাহিনীর হাতে। এর পাশাপাশি এবার অ্যান্টি ট্যাঙ্ক স্পাইক মিসাইলও যোগ হতে চলেছে ভারতীয় অস্ত্রাগারে। এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

স্পাইডার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল
তবে সীমান্ত সংঘাতের এই পরিস্থিতিতে স্পাইডার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের সঙ্গেই অন্যান্য প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম ইজরায়েল পাঠাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে কিছু জানানো হয়নি। এই ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ২০০৮ সালে চুক্তি হয় ইজরায়েলের সঙ্গে। ২০১২ সাল থেকে এই মিসাইল সিস্টেম ভারতীয় বাহিনীর হাতে আসতে থাকে। ২০১৭ সালে প্রথম এই মিসাইল সিস্টেমের টেস্ট করা হয়।

সারফেস-টু-এয়ার মিসাইলের আধুনিকীকরণ
এছাড়া ইজরায়েলি মাঝারি পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে। ইজরায়েলি অ্যারোস্পেসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই মিসাইলের প্রযুক্তিতে আধুনিকীকরণ করেছে ডিআরডিও। এই মিসাইল সিস্টেম ও তার ১৬টি ফায়ারিং ইউনিটের জন্য ইজরায়েলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ২০০৯ সালে। খুব শীঘ্রই এই মিসাইল সিস্টেম ভারতের হাতে আসার কথা।