যোশী মঠ থেকে সরানো হচ্ছে সেনা! প্রস্তুতিতে প্রভাব পড়বে না, আশ্বস্ত করলেন সেনাপ্রধান
যোশী মঠ থেকে সরানো হচ্ছে সেনা! প্রস্তুতিতে প্রভাব পড়বে না, আশ্বস্ত করলেন সেনাপ্রধান
ফাটল ধরেছে রাস্তা, পাকা বাড়িতে। নিচ থেকে বেরিয়ে আসছে জল। আর প্রতি বছরের কিছুটা করে বসছে যোশী মঠ। সেই পরিস্থিতিতে যোশী মঠকে বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যোশী মঠ থেকে সেনা নতুন জায়গায় সরানো হচ্ছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই এই যোশী মঠের অবস্থান।
সেনা সরাচ্ছে ভারত
সেনাপ্রধান
মনোজ
পাণ্ডে
জানিয়েছেন,
যোশী
মঠের
আশপাশের
এলাকা
থেকে
ভারত
বেশ
কিছু
সেনা
সরিয়ে
নিয়েছে।
ঠিক
কত
সৈন্য
সরানো
হচ্ছে
তা
অবশ্য
তিনি
স্পষ্ট
করেননি।
তবে
সূত্রের
খবর,
অনুযায়ী
যোশী
মঠের
আশপাশের
এলাকায়
থাকা
সেনাবাহিনীর
অন্তত
২০
টির
বেশি
পরিকাঠামোয়
মাঝারি
থেকে
ছোট
ক্ষতি
হয়েছে।
পর্বত
অভিযান
হোক
কিংবা
বদ্রীনাথ
যাত্রা,
যেতে
হয়
যোশী
মঠ
দিয়েই।
এই
শহরে
পরিকাঠামো
বৃদ্ধির
সঙ্গে
বেড়েছিল
পর্যটকদের
আনাগোনাও।
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন,
এই
কারণেই
বাস্তুতন্ত্রের
ক্ষতি
হয়েছে।
যার
ফলে
ভূমিধস
থেকে
বন্যা
পরিস্থিতি
আর
এখন
সেখানকার
জমির
ফাটল
ক্রমশ
চওড়া
হচ্ছে।
প্রস্তুতিতে প্রভাব পড়বে না
ভারত-চিন
সীমান্তের
গুরুত্বপূর্ণ
জায়গা
হল
যোশী
মঠ।
সে
কারণে
প্রশ্ন
উঠতেই
পারে,
তাহলে
সীমান্ত
রক্ষার
কী
হবে।
সেনাপ্রধান
সেব্যাপারে
আশ্বস্ত
করে
বলেছেন,
প্রস্তুতিতে
কোনও
প্রভাব
পড়বে
না।
তিনি
বলেছেন,
বেশ
কিছু
সেনা
সরানো
হয়েছে।
পরিস্থিতির
পর্যালোচনার
পরে
আরও
সেনা
সরানো
হতে
পারে।
ভারতের
সঙ্গে
চিনের
৩৪৮৮
কিমি
সীমান্ত
রয়েছে।
সীমান্তের
একটা
বড়
অংশের
মধ্যে
এই
যোশী
মঠও
পড়ছে।
এই
জায়গায়
প্রায়
২০
হাজার
সেনা,
কামান,
ক্ষেপণাস্ত্র-সহ
সেনাবাহিনীর
অন্য
পরিকাঠামোও
রয়েছে।
অমিত শাহের বৈঠক
এদিন যোশীমঠ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, আরকে সিং, ভূপেন্দ্র যাদব, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। এদিকে এদিন যোশী মঠে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা হোটেল ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হয়। তাপমাত্রা চলে গিয়েছে শূন্যের কাছাকাছি। আবার অন্য এলাকায় তুষারপাতও হচ্ছে। তবে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
উন্নয়ন বনাম পরিবেশ বিতর্ক সামনে
যোশী মঠে ৬০০-র বেশি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ইতি মধ্যে বেশ কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বহু বাসিন্দা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনড়। ১৬ জানুয়ারি এক ধর্মীয় নেতার আবেদনের শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ স্থগিতের আবেদন জানানো হয়েছে। এই আবেদনের ফলে ফের একবার উন্নয়ন বনাম পরিবেশের বিতর্ক সামনে চলে এসেছে।