লক্ষ্য যোগাযোগের নতুন মাধ্যম! ইমরানের দেশের সঙ্গে আলোচনায় মোদী সরকার
কার্তারপুর করিডর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হল রবিবার। আত্তারি ওয়াঘা বর্ডারে মিলিত হন দুপক্ষের শীর্ষ আধিকারিকরা। খসড়া চুক্তি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের যাতায়াত নিয়ে আলোচনা হয়। বকেয়া নানা বিষয় নিয়েও দুপক্ষের আলোচনা হয়।
পাকিস্তানের তরফে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপত্র ড. মহম্মদ ফয়জল। সকাল সাড়ের নটায় সীমান্তে এসে উপস্থিত হন তিনি। অন্যদিকে ভারতীয় দলটির নেতৃত্ব দেন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব এসসিএল দাস। সঙ্গে ছিলেন, বিদেশ মন্ত্রকের অপর এক যুগ্ম সচিব দীপক মিত্তাল।
পাকিস্তানের
বিদেশ
মন্ত্রকের
মুখপত্র
ড.
মহম্মদ
ফয়জল
জানিয়েছেন,
কার্তারপুর
করিডর
চালু
করার
ক্ষেত্রে
পাকিস্তান
পুরোপুরি
প্রতিশ্রুতি
বদ্ধ।
গুরুদ্বারের
৭০
শতাংশ
কাজও
হয়ে
গিয়েছে।
আলোচনা
সম্পর্কে
তিনি
আশাবাদী
বলে
জানিয়েছেন।
ভারত-পাক সীমান্তে ডেরাবাবা নানকে জিরো পয়েন্টে ব্রিজ তৈরি করা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধিতার খবরও সামনে এসেছে। ভারতের দিকে ব্রিজ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। বর্ষাকালে এলাকায় বন্য থেকে বাঁচার জন্যই ভারতের তরফে ব্রিজ তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তিনদফায় প্রযুক্তিগত স্তরের আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ক্রসিং পয়েন্ট এবং করিডরের পরিকাঠামোও।
ভারতের দিকের প্রায় ৪৫ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। ২০১৮-র ২২ নভেম্বর মোদী ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, প্রয়োজনীয় সব পরিকাঠামো করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে ৪ লেনের রাস্তা এবং স্টেট অফ আর্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল। অক্টোবরের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করার লক্ষ্য মাত্রা রাখা হয়েছে। কেননা নভেম্বরেই রয়েছে গুরুনানক দেবের ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে পুণ্যার্থীর সংখ্যা বাড়ানো যায়। সংখ্যাটা যাতে ১০ হাজার করা হয়, সেই জন্য পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছে ভারত।
The Second Round of Talks between #Pakistan and #India on #KartarpurCorridor have started.
— Dr Mohammad Faisal (@ForeignOfficePk) July 14, 2019
The Pakistan side is led by Dr. Mohammad Faisal, DG South Asia / Spokesperson MoFA.#PakistanKartarpurSpirit pic.twitter.com/BwKjPUFU13