লাদাখ নিয়ে ব্যাকফুটে চিন! ভারতের আক্রমণাত্মক মনোভাব সাফ করে লাদাখে বায়ুসেনা প্রধান
নতুন কোনও সংঘর্ষের খবর না-মিললেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া এলাকায় সন্দেহজনক সক্রিয়তা বাড়ায় চিন। স্যাটেলাইট ছবিতে এই তথ্য প্রকাশ পেতেই ভারতও তৎপর হয়ে ওঠে। শ্রীনগর ও লেহ-তে বায়ুসেনা ঘাঁটি পরিদর্শনে গেলেন বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদৌরিয়া। সেখানে যুদ্ধবিমানও রেখে চিনকে চাপে রাখার কৌশল হিসাবে।
লেহতে যুদ্ধবিমান
ক্রমেই তীব্র হচ্ছে চিন-ভারত উত্তেজনার পারদ। লাদাখ সীমান্তে ততই প্রবল হচ্ছে যুদ্ধ সম্ভাবনা। এদিকে এরই মধ্যে লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেল ভারতীয় সেনা বাহিনীর অন্যতম বিধ্বংসী হেলিকপ্টার চিনুক। পাশাপাশি ইন্দো-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় এবার যুদ্ধবিমানও নিযুক্ত করল ভারত।
লাদাখের আকাশসীমায় বিশেষ নজরদারি
জানা গিয়েছে লাদাখের আকাশসীমায় বিশেষ নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে পিএইটআই বিমান। আকাশ থেকে সমুদ্রের নীচে ডুবোজাহাজ খুঁজতে সক্ষম এই বিমান ডোকলাম বিবাদের সময়ও নজরদারি চালিয়েছিল। পিএইটআই বিমানে ভূমি ও জল থেকে ছোড়া অস্ত্রকে ঠেকানোর প্রযুক্তি রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা এই বিমান ব্যবহার করে।
নির্মাণকাজের জন্য কাঁচামাল মজুত করে চিন
গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ক্রমেই সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে চিন। নির্মাণকাজের জন্য কাঁচামাল মজুত করা হচ্ছে, সেই ছবিও দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি প্যাংগং সো-তে চিনা সেনার বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিকে যেকোনও মূল্যে প্যাংগং সো নিজেদের কাছে রাখতে মরিয়া ভারতও সেখানে সেনা পাঠিয়েছে। এর জবাবেই ভারতের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।
গালওয়ানে ব্রিজ তৈরি ভারতীয় সেনার
প্রসঙ্গত, সোমবার ভারতীয় সেনার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২০ জন সেনাকে হত্যা করে চিন। ভারতের পাল্টা জবাবে প্রাণ হারায় চিনেরও কমপক্ষে ৩৫ জনের। তবে এই আবহতেও ভারতীয় সেনা তাঁদের রাস্তা নির্মাণ কাজ জারি রাখে। আর শেষ পর্যন্ত গালওয়ানের যেই ব্রিজ নিয়ে এই বিবাদ শুরু হয়, তা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে সেনা।
শেষ পর্যন্ত জিতে গেল ভারতীয় সেনার জেদ! লাদাখের গালওয়ানে চিনের বিরুদ্ধে বিশাল সাফল্য