বন্দুকের নলের মুখে কাবুলের ব্যস্ত রাস্তা থেকে ভারতীয় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, ঘটনার উপর কড়া নজর ভারতের
আফগানিস্তান (Afghanistan) জুড়ে এখন তালিবানি রাজ! গোটা দেশজুড়ে কার্যত নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে তালিবরা (Taliban)। এরপর তো রয়েছে একের পর এক ফতোয়া। কার্যত বন্দুকের নলের ডগাতে রাখা হয়েছে সে দেশের মানুষকে। সম্প্রতি কাবুল (Kabu
আফগানিস্তান (Afghanistan) জুড়ে এখন তালিবানি রাজ! গোটা দেশজুড়ে কার্যত নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে তালিবরা (Taliban)। এরপর তো রয়েছে একের পর এক ফতোয়া। কার্যত বন্দুকের নলের ডগাতে রাখা হয়েছে সে দেশের মানুষকে। সম্প্রতি কাবুল (Kabul) থেকে এক ভারতীয় বংশদ্ভুত এক নাগরিককে অপহরনের ঘটনা সামনে এসেছে।
বন্দুকের নাকের ডগাতে ওই ব্যাক্তিকে অপহরণের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কাবুলের বুকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। পুরো বিষয়টির উপর কড়া নজরদারি ভারতের তরফে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখমাত্র অরিন্দম বাগচী।
আজ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অরিন্দম বাগচী। সেখানে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের ঘটনাতে আফগান প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকে নজর রাখছে ভারত।
শুধু তাই নয়, তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপরেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। অরিন্দম জানিয়েছেন, এই ঘটনাতে ভারত খুবই উদ্বিগ্ন। তবে ভারতের তরফে বিভিন্ন জায়গাগুলিতে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখমাত্র।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানে ব্যবসা করছেন বান্সরী লাল (Bansari Lal)। ওই ব্যাক্তির গোটা পরিবার হরিয়ানার ফরিদাবাদে থাকে। জানা গিয়েছে, বান্সরী লাল কাবুলে pharmaceutical products এর ব্যবসা করেন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে স্টাফদের সঙ্গে নিয়ে নিজের দোকান খোলার যাচ্ছিলেন ওই ব্যাক্তি।
সেখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। আর এরপরেই ওই ব্যাক্তি এবং তাঁদের সমস্ত স্টাফকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, বান্সরী লাল (Bansari Lal) বয়স ৫০ বছর। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ তিনি।
সূত্রের খবর, বৃদ্ধ বান্সরী লালকে খুব খারাপ ভাবে তালিবানরা মারধর করেছে। শুধু তাঁকে নয়, তাঁর সঙ্গে থাকা স্টাফদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, আফগান এজেন্সি ওই ব্যাক্তির খোঁজ শুরু করেছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ জমা পড়েছে। ভারতের তরফে গোটা বিষয়ের উপর নজরদারি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে তালিবানদের তরফে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়েছিল। শোষণ নীতি নয়, বরং শিক্ষা সহ সমস্ত ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তালিবরা। কিন্তু সময় ঘুরতেই ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে তাঁদের চরিত্র। ক্রমশ আড়ালে থাকা চেহারাটা সামনে আসছে তালিবানদের। উন্নয়ন নয়, বরং বন্দুকের সামনে মানুষকে অত্যাচার সহ নৃশংস চেহারাটা বাইরে আসছে।