ভারতে টিকাকরণের গতি না বাড়ালে 'হার্ড ইমিউনিটি' পেতে একাধিক বছর পেরিয়ে যাবে, সাবধানবাণী বিশেষজ্ঞদের
হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে দেশে ৩.৫ বছর লেগে যাবে যদি ভ্যাকসিনেশনের গতি একই থাকে
করোনার দ্বিতীয় স্রোতে কার্যত ধরাশায়ী গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ভ্যাকসিনেশন নিয়ে যেমন ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন,তেমন আবার 'হার্ড ইমিউনিটি' প্রসঙ্গেও আলোচনা চলছে দেশে। এমন অবস্থায় এক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী যে তথ্য উঠে এসেছে, তা রীতিমতো হাড়হিম করে দিতে পারে অনেকের।
করোনা চিকিৎসায় আইভারমেক্টিনের সুফলের কোনও ক্লিনিক্যাল প্রমাণ নেই! আশঙ্কার কথা বলছে হু
ভ্যাকসিনেশনের ১০০ দিন ও বাস্তব সত্য
প্রসঙ্গত, দেশে ভ্যাকসিনেশনের ১০০ দিন পার করে বহু বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন যে, ভারতে বর্তমানে যে শ্লথ গতিতে টিকাকরণ চলছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাতে আরও ৩.৫ বছর লেগে যেতে পারে করোনার 'হার্ড ইমিউনিটি' তৈরি করতে।
হার্ড ইমিউনিটি ও দেশের পরিস্থিতি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশে করোনার বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে ৯৪.৫ কোটি মানুষকে কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি শট দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর কোভিশ্লিডই হোক বা কোভ্যাক্সিন, দুটি কোভিড ডোজ দিলে তবেই দেশে হার্ড ইমিউনটি তৈরি হবে। আর এই পরিমাণ জনতাকে কোভিডের ডোজ দেওয়া মানেই ১৮৯ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের প্রয়োজন।
ভ্যাকসিন সরবরাহ ও ভারত
প্রসঙ্গত, ভারতে কোভিড ভ্যাকসিনেশনের ১১৫ দিন কেটেছে। এর মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ১৯ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে। এদিকে হার্ড ইমিউনিটি দখল করতে করে ১৮৯ ভ্যআকসিন ডোজ চাই। তা যদি বর্তমানে হারে গোটা দেশে সরবরাহ হয়, তাহলে সাড়ে তিন বছর লাগবে।
আশার আলো
যদিও দিল্লি সহ একাধিক রাজ্য দাবি করছে ভ্যাকসিনের কমতি নিয়ে, তবুও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসের শেষের দিকের মধ্যে ১০,১৭,২৬,৩৩,৭৬১ ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, ভ্যাকসিনেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গ্রাফ বলছে, দেশের ভ্যাকসিনেশনে ১০ শতাংশেরও কম কভারেজ হয়েছে ৫৮ শতাংশ জেলায়। বাকি ৩৭ শতাংশ জেলায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন কভারেজ হয়েছে।