
লক্ষ্য মুদ্রাস্ফীতি আটকানো, বন্ধ চিনি রফতানি , শুল্ক বাতিল সোয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলে
মুদ্রাস্ফীতি রোধ করার জন্য ব্যাপকভাবে চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই দিন পনেরো আগে বন্ধ করা হয়েছিল গমের রফতানি। এবার সেই তালিকায় এল চিনিও। জানা গিয়েছে আগামী মাসের প্রথম দিন থেকেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রফতানিকারি দেশ ভারত মূল্যবৃদ্ধি রুখতে চিনি অন্য দেশকে রফতানি করা বন্ধ করবে, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষে। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে সোয়াবিন তেল এবং এবং সূর্যমুখী তেলে আমদানিতে শুল্ক বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এতে তেলের দামে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
Koo AppCentral Government has allowed import of a quantity of 20 Lakh MT each of Crude Soyabean Oil & Crude Sunflower Oil per year for period of 2 years at Nil rate of customs duty and Agricultural Infrastructure and Development Cess. This will provide significant relief to consumers. - PIB India (@PIB_India) 24 May 2022


কী বলা হয়েছে ?
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে সরকার মূল্যবৃদ্ধি থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে চাইছে। লাগাম ছাড়া এই যে দাম বৃদ্ধি তা রোধ করতে চাইছে সরকার। অন্য দেশকে দেওয়া হলে দেশের ভাঁড়ারে টান পড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী জিনিস না দিতে পারলেই স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ছে দাম। এই পরিস্থিতিকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে সরকার। তাই এবার গমের পড়ে চিনির রফতানিতেও টানা হল লাগাম। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রফতানিকারক তারা এভাবে পুরোপুরি রফতানি বন্ধ করে দেওয়া মানে বিদেশি মুদ্রা কেন্দ্রের ভাঁড়ারে আসা বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতির দিক থেকে এটাও দরকার। সেই দিকটা ভেবে কি দেখা হচ্ছে না ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

কেন করা হচ্ছে এমন ?
জানা গিয়েছে যে পয়লা জুন থেকে চিনি রফতানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির পরিমাণ বাড়ানোই এর মূল উদ্দেশ্য বলে জানা যাচ্ছে। সরকার মনে করছে যে এই রফতানি বন্ধ করলে মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব। দেশের মানুষের পাতে টান পড়বে কম। ফলে সংসার খরচ কম হলে , সঞ্চয় বাড়বে তার ফলে ক্রয় ক্ষমতা দেশের মানুষের বাড়বে এবং অর্থনৈতিক যে ঘোর সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা থেকে উঠে দাঁড়ানো যাবে বলে মনে করছে অর্থমন্ত্রক, তাই এই সিদ্ধান্ত।

শুল্ক বাতিল সোয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেলে
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক চিনি রফতানি যে নিষেধাজ্ঞার আরোপ করা হচ্ছে সেই কথা জানিয়েছে । এর আগে সরকার শুল্ক বাতিল করেছিল সোয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেলে আমদানিতে । ভোজ্যতেলের দামে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সরাসরি পড়বে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড জানিয়েছে যে, ' কাঁচা চিনি, পরিশোধিত চিনি , সাদা চিনিতে পয়লা জুন ২০২২ থেকে রফতানিতে লাগাম লাগানো হচ্ছে। সোজাসুজি ভাবে বললে আমরা এখন চিনি রফতানি করব না।

সিএক্সএল এবং টিআরকিউ-এর অঞ্চল
। তবে এও জানা গিয়েছে যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি রফতানি করা হয় সিএক্সএল এবং টিআরকিউ-এর অঞ্চলগুলিতে। এই সিএক্সএল এবং টিআরকিউ হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে থাকা অঞ্চল। ওই অঞ্চলে জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে রফতানি করা চিনির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। দেশে চিনির মরসুম ২০২১-২২ সালে অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে অভ্যন্তরীণ সাপ্লাই এবং দাম যাতে না বেড়ে যায় তার জন্য ১০০ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত চিনি রফতানিতে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।