নভেম্বরে ভারতের মাটিতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! ভয়ঙ্কর পূর্বাভাস গবেষকের
তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরেই। এবার ক্রমশ সেই সময় এগিয়ে আসছে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। বেশ কিছুদিন ধরে টিকাকরণ কমেছে বিভিন্ন রাজ্যে ও অন্যদিকে আর ভ্যালু বেড়ে যাচ্ছে। তাই কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু ক
তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরেই। এবার ক্রমশ সেই সময় এগিয়ে আসছে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। বেশ কিছুদিন ধরে টিকাকরণ কমেছে বিভিন্ন রাজ্যে ও অন্যদিকে আর ভ্যালু বেড়ে যাচ্ছে। তাই কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে অনেক গবেষকই আশঙ্কা করছেন ভারতে তৃতীয় ডেউ আসন্ন।
অক্টোবর-নভেম্বরে ফের ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির পর কমে গেলেও জুলাই মাসের শেষে আচমকা বেড়ে গিয়েছে আর ভ্যালু। তিন মাস পর প্রথমবার ১ পার করেছে আর ভ্যালু। আর ভ্যালু হল একটি মাপকাঠি।
একজনের থেকে কতজন সংক্রমিত হচ্ছে, তা মাপা হয় আর ভ্যালু দিয়ে, আর সেটাই নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মিচিগান ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে একটি সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে অগস্টের শেষে ভারতে একটা ছোট ঢেউয়ের ধাক্কা আসবে আর নভেম্বরের আশেপাশে ফের বাড়বে সংক্রমণ।
মিচিগান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপিকা ভ্রমন মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমি অনেক আগে থেকে পূর্বাভাস দেওয়ায় বিশ্বাসী নয়। কারণ পরিস্থিতি খুব দ্রুত বদলে যেতে পারে। তবে আমাদের মডেল অনুযায়ী ভারতে সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে।'
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের শেষে সংক্রমণ শিখরে না উঠলেও কিছুটা বাড়বে। তবে তৃতীয় ঢেউ বোঝা যাবে নভেম্বরের কাছাকাছি। তৃতীয় ঢেউ তখনই উচ্চতায় পৌঁছবে। ভ্রমর মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি নিজে প্রত্যেকবার অগস্টের শেষে ভারতে আসেন।
কিন্তু এবার ওই মডেলের ওপর ভিত্তি করেই জুলাইয়ের শেষে দেশে এসেছেন তিনি। মিচিগান ইউনিভার্সিটি এই মডেল তৈরির জন্য ভারতের প্রত্যেক সপ্তাহের রিপোর্টে নজর রাখছে। ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় ওয়েভের পূর্বাভাসও দিয়েছিল এই মিচিগান ইউনিভার্সিটি। তবে তৃতীয় ঢেউ যে শিশুদের জন্য সবথেকে বেশি আশঙ্কার, এমন দাবি করছেন না ভ্রমর মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, 'ভারতে তৃতীয় ঢেউতে শিশুরা আক্রান্ত হবে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা আমি খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছি না, কারণ শিশুদের প্রবলভাবে সংক্রমিত হওয়ার উদাহরণ বিশ্বের কোথাও নেই। তবে তিনি জানান, ভারতে ১ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা এখনও টিকা পাননি। এমন ৪০ শতাংশ জনসংখ্যার টিকাকরণ শুরু হওয়া উচিৎ অবিলম্বে। প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'দ্রুত হারে টিকাকরণ বাড়াতে হবে। আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। পরিসংখ্যান বলছে, অগস্ট থেকে দিনে ৪০ লক্ষের কম মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে ভারতে।