লাদাখ সংকট নিয়ে চিনের সঙ্গে ফের বৈঠক, ১৪ তম সেনা পর্যায়ের বৈঠকে কী মিলবে সমাধান সূত্র
লাদাখ সংকট নিয়ে চিনের সঙ্গে ফের বৈঠক, ১৪ তম সেনা পর্যায়ের বৈঠকে কী মিলবে সমাধান সূত্র
লাদাখ ইস্যুতে ফের মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছে চিন এবং ভারতের সেনাবাহিনী। এই নিয়ে ১৪তম বৈঠকে বসছে দুই দেশের সেনা। এই বৈঠকে সমাধান সূত্র কিছু একটা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে কূটনৈকিত মহল।যদিও ২০২১ সালের শেষ থেকে ২০২২ সালের প্রথমে চিনের সঙ্গে ফের লাদাখ নিয়ে প্রবল সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত। বছরের প্রথম দিনেই গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পতাকা ওড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল।
ফের মুখোমুখি বৈঠক
ফের মুখোমুখি বৈঠকে বসছে ভারত চিন। লাদাখ ইস্যুতে এই নিয়ে ১৪ তম সেনা পর্যায়ে বৈঠক হতে চলেছে। এর আগে ১৩ বার বৈঠক হলেও তেমন কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। দুই দেশ সাময়িকভাবে সীমান্তে দূরত্ব বজায় রাখলেও গালওয়ান উপত্যকায় কিন্তু সমস্যা রয়েই গিয়েছে। এই নিয়ে জোর টানাপোড়েন চলছে দুই দেশের মধ্যে। তারমধ্যেই আবার বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশের সেনাবািহনী। এবার সমাধান সূত্র বেরোলেও বেরোতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পতাকা
গালওয়ান উপত্যকায় উড়ছে চিনের পতাকা। আর তার নীচে দাঁড়িয়ে সেদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছে চিনা ফৌজ। বছরের প্রথম দিনেই চিনা সংবাদ মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল সেই ভিডিও। তারপর সেিটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সীমান্তের গণ্ডি পেরিয়ে সেটা ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতেও। এই ভারতে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যদিও পরে দাবি করা হয়েছিল সীমান্তে বছরের প্রথম দিনে একে অপরের সঙ্গে মিষ্টি বিনিময় করেছে দুই দেশের সেনা।
অরুণাচলে চিনা আগ্রাসন
শুধু লাদাখ নয় অরুণাচল প্রদেশেও শুরু হয়েছিল চিনা আগ্রাসন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে অরুণাচল প্রদেশের একাধিক গ্রাম দখল করে ফেলেছে চিন। যদিও পরে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে একেবারেই সত্যি নয় সেকথা। ভারতের এক ইঞ্চি জমিতেও পা রাখতে পারেনি বেজিং। তারপরেই আবার দাবি করা হয়ে অরুণাচল প্রদেশে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের নাম বদলে নিজেদের ম্যাপের অংশ বলে দাবি করেছে চিন। তাই নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বেজিং কোনও ভাবেই ভারতের অংশকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারে না।
মোদীকে নিশানা কংগ্রেসের
লাদাখে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নোদীকে জবাব দিহি করার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া গালওয়ান উপত্যকার ভিডিও টুইট করে একাধিক কংগ্রেস নেতা নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। লাদাখ সীমান্ত চিন পা রেখেছে কিনা তা স্পষ্ট করে দেশবাসীকে জানানো উচিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর। কেন তিনি নিরব এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।