নতুন বছরে করোনা টিকার প্রয়োগ নিয়ে কোন বার্তা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের মুখে?
নতুন বছরে করোনা টিকার প্রয়োগ নিয়ে কোন বার্তা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের মুখে?
করোনা ভাইরাসে কম্পমান ভারত। মার্চ থেকে শুরু হওয়া স্থবিরতা বছর শেষে যখন সবে জিরানোর পরিকল্পনা করছিল, ঠিক তখনই কোভিড ১৯-এর নতুন ঢেউ ফের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে। তারই মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর শোনালেন ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই ভিজি শ্রীমানী। করোনা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ নিয়ে আশার বার্তা শুনিয়ে দেশবাসী তিনি শুভ নববর্ষও জানিয়েছেন।
কী বললেন শ্রীমানী
বৃহস্পতিবার বায়োটেকনোলজি বিভাগের ওয়েবনারে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই ভিজি শ্রীমানী জানিয়েছেন, কোভিড ১৯-এর টিকা নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। সেই প্রতিষেধক ২০২১-এর শুরুতেই আপদকালীন ভাবে করোনা আক্রান্তদের ওপর প্রয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন শ্রীমানী। বলেছেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের 'অক্সফোর্ড' ও ভারত বায়োটেকের 'কোভাক্সিন' টিকার প্রয়োগ একই সঙ্গে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছাড়পত্রের অপেক্ষা
ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল বা ডিসিজিআই ভিজি শ্রীমানী জানিয়েছেন, সিরাম ইনস্টিটিউটের 'অক্সফোর্ড' ও ভারত বায়োটেকের 'কোভাক্সিন' টিকা সংক্রান্ত সব তথ্য খুঁটিয়ে দেখেছে সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি বা এসইসি। এই দুই সংস্থা এবং পিফিজারের কোভিড ১৯ প্রতিষেধককে অনুমোদন দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে যে আবেদন জমা পড়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রীমানী। তাঁর বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত ভারতে বিভিন্ন স্তরের ৬টি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি সম্পূর্ণভাবে ভারতে তৈরি বলে জানিয়েছেন ডিসিজিআই। ২০২১-এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাঁদের হাতে ১০০ মিলিয়ন অক্সফোর্ড টিকা মজুত থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ভিজি শ্রীমানী।
প্রাথমিক স্তরে কত টিকা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্বে দেশে ৩০ কোটি কোভিড ১৯ টিকা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে এক কোটি টিকা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। ফ্রন্টলাইন এবং জরুরিকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীদের জন্য দুই কোটি টিকা বরাদ্দ করা হবে। দেশের পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকদের জন্য ২৭ কোটি কোভিড ১৯ টিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর।
সরকারের খরচ কত
আগামী এক বছর দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা বিলি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আনুমানিক ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। করোনা ভাইরাস-রোধী অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকা টিকার স্রষ্টা আস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় অংশীদার পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট শনিবারএই কথা জানিয়েছে।