লালফৌজের ঘুম ওড়াতে ২০২২ এর মধ্যে চিনের দিকে তাক করে বসে যাবে রাশিয়ার তৈরি S-400
ভারতের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে লালফৌজ! ভারত-চিন সীমান্ত জুড়ে ব্যাপক ভাবে সেনা বাড়াচ্ছে বেজিং। শুধু তাই নয়, একেবারে ভারতের গা ঘেঁষে একের পর এক নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী। ক্রমশ বাড়ছে টেনশন।
ভারতের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে লালফৌজ! ভারত-চিন সীমান্ত জুড়ে ব্যাপক ভাবে সেনা বাড়াচ্ছে বেজিং। শুধু তাই নয়, একেবারে ভারতের গা ঘেঁষে একের পর এক নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী। ক্রমশ বাড়ছে টেনশন। এই পরিস্থিতি যদিও ভারতের তরফেও চলছে পালটা প্রস্তুতি।
চিনকে রুখতে ব্যাপক ভাবে সেনা মোতায়েন ভারতীয় সেনার। চিনের যে কোনও প্ররোচনা রুখতে একাধিক যুদ্ধবিমান সাজাচ্ছে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স।
ভারতের হাতে আসছে এস-৪০০
কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতিতেই ভারতের হাতে আসছে এস-৪০০। ইতিমধ্যে রাশিয়ার থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছে এই সমস্ত অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা মিসাইল সিস্টেমগুলি। আকাশ থেকে জলপথে সেগুলি ভারতে আসছে। মনে করা হচ্ছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এগুলি ভারতে পৌঁছে যেতে পারে। এই সিস্টেম বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। চিন এবং ভারতের মধ্যে চলা উত্তেজনার মধ্যেই এস-৪০০ হাতে পেলে নিঃসন্দেহে তা শক্তি বাড়াবে বলেই মত রাজনৈতিকমহলের।
চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।
এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম হাতে পাওয়ার পরেই সেগুলি চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানা গিয়েছে, লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশে অত্যাধুনিক এই সিস্টেমগুলি মোতায়েন করা হবে। রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে যে, অত্যাধুনিক এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলি আগামী বছর অরথাত ২০২২ সালের প্রথম দিকে কার্যকর হয়ে যাবে।
৪০০ কিমি গভীরে আঘাত করতে পারে!
এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম অন্যতম আধুনিক সিস্টেম। শত্রুপক্ষের ঘরের মধ্যে ঢুকে আঘাত করতে পারে এই সিস্টেম। শুধু তাই নয়, এই সিস্টেমের বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে শত্রুর বিমান এবং ড্রোনও ধ্বংস করা যাবে। এই সিস্টেম হাতে পাওয়ার পরেই চিনের যে ঘুম ভারত তা কার্যত স্পষ্ট। তবে চিনের কাছেও অত্যাধুনিক এই এস-৪০০ মিসাইল রয়েছে।
ভারতে আসছেন পুতিন
ভারতে আসছেন পুতিন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ভারতে আসার কথা রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। জানা যাচ্ছে, পুতিনের এই সফরের মধ্যেই ভারতের হাতে চলে আসবে এস-৪০০ এর প্রথম চালান। তবে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক ভালো। তা আরও মজবুত করতে একগুচ্ছ সামরিক চুক্তি করতে পারে ভারত।