লাদাখ সীমান্তে রণসজ্জায় ভারত-চিন, সামরিক শক্তিতে কে কতটা বলীয়ান জেনে নিন
লাদাখ সীমান্তে রণসজ্জায় ভারত-চিন, সামরিক শক্তিতে কে কতটা বলীয়ান জেনে নিন
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা। রণসজ্জায় সেজে উঠেছে দুই দেশই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যে কোনও মুহূর্তে বাঁধতে পারে যুদ্ধ।
২০১৭ এর ডোকলামের পর আবারও মুখোমুখি নয়াদিল্লি-বেজিং। কিন্তু যুদ্ধ হলে কোন দেশের জেতার সম্ভাবনা বেশি জানেন কি ? কোন দেশিই বা সামরিক খাতে কতটা উন্নতি করেছে ?
সীমান্ত বরাবর চিনের শক্তি প্রদর্শন জারি
এদিকে ইতিমধ্যেই প্যাংগং সো আর গালওয়ান উপত্যকায় আরও প্রায় আড়াই হাজার সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা গেছে চিনকে। আরও ১০০ টি নতুন সেনা ছাউনি ও যুদ্ধবিমানের চিত্রও ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। যদিও পাল্টা জবাবের জন্য প্রস্তুত ভারতও। ইতিমধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ এবং সেনার তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জরুরি বৈঠক সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বার্তালাপ হয় চিনা প্রশাসনের সঙ্গেও। যদিও সেখানেও বরফ গলার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
যুদ্ধের জন্য লাল ফৌজকে তৈরি থাকার নির্দেশ শি জিনপিংয়ের
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজননাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল গোটা পরিস্থিতির উপর সারাক্ষন নজর রাখছেন বলে জানা যাচ্ছে। লাদাখ সীমান্ত বরাবর আরও দুই ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সংসদীয় অধিবেশন চলার সময় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পিপিলস লিবারেশন আর্মিকে বা চিনের লাল ফৌজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।
মোট কত যুদ্ধবিবান রয়েছে ভারত ও চিনের কাছে
এদিকে সীমান্তে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ সম্মুখসমরে নামায় আন্তর্জাতিক রাজনীতির মঞ্চেও শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। দুই দেশের সামরিক শক্তি নিয়ে চলছে তুল্যমূল্য আলোচনা। সূত্রের খবর, গতবছর পর্যন্ত চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্সের কাছে মোট ২,৯৫৫ এয়ারক্রাফট ছিল। যার মধ্যে ১,২৭১টি ফাইটার এয়ারক্রাফট, ১,৩৮৫টি অ্যাটেক এয়ারক্রাফট, ৭৮২টি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, ৩৫২টি ট্রেনার এয়ারক্রাফট, ২০৬টি অ্যাটেক হেলিকপ্টার সহ মোট ৯১২টি হেলিকপ্টার আছে বলে খবর। অন্যদিকে, গত বছর পর্যন্ত ভারতের কাছে ৬৭৬টি ফাইটার এয়ারক্রাফট, ৮০৯টি অ্যাটেক এয়ারক্রাফট, ৮৫৭টি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, ৩২৩টি ট্রেনার এয়ারক্রাফট, ১৬টি অ্যাটেক হেলিকপ্টারসহ ৬৬৬টি হেলিকপ্টার ছিল বলে খবর।
বিগত কয়েক বছর ধরেই সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে চিন
এদিকে বিগত কয়েক বছর ধরেই সামরিক বাহিনীতে বরাদ্দ বাড়িয়ে চলেছে বেজিং। বর্তমানে ২০ লক্ষ সেনা নিয়ে বিশ্বের সবথেকে বড় সামরিক বাহিনী চিন। যেখানে ভারতের রয়েছে ১৩ লক্ষ সেনা। ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের প্রায় তিন গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে বলেও জানা যাচ্ছে। এই পরিমাণ ১৭,৯০০ কোটি টাকা। করোনা মহামারির জেরে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি বড়সড় ধাক্কা খেলেও সামরিক শক্তি বৃদ্ধিই যে চিনের এখন প্রধান লক্ষ্য তা এই বিশালাকার বরাদ্দ থেকেই স্পষ্ট।
এক নজরে দুদেশের সামরিক অস্ত্রশস্ত্রের তুল্যমূল্য বিচার
এদিকে যুদ্ধের জন্য চিনের কাছে প্রায় ১৩০০০ কামান রয়েছে বর্তমানে। ভারতের কাছে সেই সংখ্যা ৪১০০। পাশাপাশি চিনের মোট যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৪০,০০০-র উপর। ভারতের সেই সংখ্যা ২৮০০। পাশাপাশি বর্তমানে চিনের কাছে যেখানে ২০৫০ টি রকেট লঞ্চার রয়েছে সেখানে ভারতের কাছে সেই সংখ্যা মাত্র ২৬৬।
৯ বছরের সরকারকে ৯ দফা চার্জশিট! বাংলাকে মমতার 'অপশাসন' মুক্ত করতে ফোন নম্বর দিল বিজেপি