চিনের চিন্তা বাড়িয়ে আরও পোক্ত ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব, একনজরে ২+২ বৈঠকে স্বাক্ষরিত পাঁচটি চুক্তি
এই মুহূর্তে চিনের সঙ্গে ঝামেলা চলছে উভয় ভারত ও আমেরিকার। এর জেরে সামরিক ভাবে যে দুই দেশ আরো কাছাকাছি আসবে, সেটা বলাই বাহুল্য। সেই মতোই এদিন একটি 'বেসিক এক্সচেঞ্জ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট' সহ পাঁচটি চুক্তিতে সই করে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তির মাধ্যমে লাদাখে এবং দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের গতিবিধি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান প্রদান করার ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা আসতে চলেছে দুই দেশ। তাছাড়া মঙ্গলবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতমহাসাগরকে মুক্ত পথ তৈরির করা নিয়েও আলোচনা হয় দু'পক্ষের৷
আমেরিকার থেকে এমকিউ-৯বি ড্রোন পাবে ভারত
এদিকে 'বেসিক এক্সচেঞ্জ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট'-এর মাধ্যমে ভারত আমেরিকার থেকে এমকিউ-৯বি ড্রোন পাবে। এর ফলে লাদাখে চিনের উপর আরও কড়া নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। এবং প্রয়োজনে এই ড্রোনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে হানা আনতেও সক্ষম হবে ভারত। তাছাড়া আফগানিস্তানে তালিবান শান্তি চুক্তি নিয়েও কথা হয় এদিনের বৈঠকে। এছাড়া আমেরিকার তরফে ভারত মহাসাগরে একটি নিরাপত্তাবলয় তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে৷
মোট পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এদিন
বেসিক এক্সচেঞ্জ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট ছাড়াও এদিনের স্বাক্ষরিত চুক্তির মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া সম্পর্কিত একটি মৌ, পরমাণু সহযোগিতা এবং ব্যবস্থাপনার বিস্তার, ডাক সেবার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, আয়ুর্বেদ এবং ক্যানসার নিরাময় এবং অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সহযোগিতার চুক্তি। প্রসঙ্গত বিশেষজ্ঞদের মত, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন ভারত-মার্কিন তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে দিগন্ত খুলে যাবে বেকা সই হওয়ার পর।
দিল্লি-ওয়ািংটনের তৃতীয় ২+২ বৈঠক
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্য়ে বৈঠকের পর থেকে প্রতিবছর দু'দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে এই আলোচনা হয়ে আসছে৷ সেই ধারা বজায় রেখেই এদিন বৈঠকে বসে দুই দেশ। এটি এই পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দিতে সোমবারই দিল্লি পৌঁছেছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার এবং মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও।
চিনা সেনার আগ্রাসন নিয়ে বিস্তর আলোচনা
ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সচিব ও অন্যান্য আধিকারিকরা৷ সূত্রের খবর, বৈঠকে ভারত ও আমেরিকার তরফে লাদাখ পরিস্থিতি এবং সেখানে চিনা সেনার আগ্রাসন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
ভারত মহাসাগরে চিনের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা
পাশাপাশি পশ্চিম ভারত মহাসাগরে চিনের আগ্রাসন আমেরিকার জন্য় চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে৷ এর জেরে ভারত, বাংলাদেশ, জাপান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য় বন্ধ হতে বসেছে৷ ফলে চিনকে ঠেকাতে ভারতের সাহায্য়ের জন্য় বৈঠকে আলোচনা হয় এদিন। তাছাড়া জাপান, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মিলে কোয়াড জোটকে আরও পোক্ত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
ইমরান খান নন, নওয়াজ শরিফের আসল 'চ্যালেঞ্জার' কে? কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান