চিনকে চাপে রেখে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আগে ভারত–আমেরিকা দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক
ভারত–আমেরিকা দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিন-ভারত সংঘর্ষের পর থেকেই জিংপিংয়ের দেশের ওপর ক্ষেপে রয়েছে দিল্লি। একদিকে যেমন ভারত বিরোধী দেশগুলিকে একত্রিত করে চিন শক্তি জোগাড় করছে তেমনি চুপ করে বসে নেই ভারতও। ড্রাগনের দেশকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমেরিকার বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ও স্বরাষ্ট্র সচিব মার্ক টি এসপার সোমবার কৌশলগত ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
টুইটারে বৈঠক নিয়ে পোস্ট পম্পেওর
টুইটারে মাইক পম্পেও জানিয়েছেন যে তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়েছেন। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘ভারত, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়া সফরের জন্য আমি বেড়িয়ে পড়েছি। স্বাধীন, শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ দেশগুলির সমন্বয়ে গঠিত ইন্দো প্যাসিফিকের জন্য আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা করার জন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।'
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা
জানা গিয়েছে পম্পেও এবং এসপার ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারবেন। তাঁরা এই বৈঠকে যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোনও করবেন। উভয় পক্ষই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের চিনের প্রয়াস এবং পূর্ব লাদাখের আগ্রাসী আচরণ সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গিয়েছে।
ইন্দো–আমেরিকা আলোচনা থেকে প্রত্যাশা
গত সপ্তাহে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন যে এই আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিয় ইস্যুর পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘তৃতীয় মন্ত্রীসভার সংলাপে পারস্পরিক স্বার্থের বিস্তৃত দ্বিপাক্ষীয় ইস্যু যুক্ত হবে। এ ছাড়া উভয় পক্ষ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মত বিনিময় করবে।' তিনি আরও বলেছিলেন, ‘তাঁরা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা করবেন এবং যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ফোন করবেন।' সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে এই বৈঠক কেন মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আগের দিন রাখা হল? এ প্রসঙ্গে শ্রীবাস্তব বলেন, ‘কৃটনৈতিক ক্যালেন্ডারে তাঁদের যুক্তি রয়েছে। এর আগে এই দু'টি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল বছরের শেষে।'
ভারত–আমেরিকা আলোচনায় উঠে আসবে চিন ইস্যু
মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আগে ভারত-আমেরিকা বৈঠকে অবশ্যই উঠে আসবে চিন-ভারতের সীমান্ত অশান্তির প্রসঙ্গ। মাইক পম্পেও ও এসপারের ভারত সফর নিয়ে গ্লোবাল টাইমসে চিনের মুখপাত্র বলেছেন, ‘টোকিওর মতো দিল্লির সঙ্গে ভারতের জোট গঠন করা কঠিন। যে দেশটি নিজেকে শক্তিশালী বলে বিশবাস করে, সে আর কোনও বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দিতার মুখোমুখি হবে না।' শেষ কিছু মাস যাবৎ আমেরিকার পক্ষ থেকে চিনকে ক্রমাগত আক্রমণ করা হচ্ছে। সেটা অবশ্যই ভারত ও চিনের সীমান্ত ঝামেলা নিয়ে। প্রসঙ্গত, আগামী মাসে মালাবার উপকূলে ভারতের সঙ্গে নৌ মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার। যা নিয়ে বেশ অসন্তোষ চিন। এরই মাঝে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ড্রাগনের দেশের চাপ আরও বাড়াবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
কলকাতা থেকে জেলা - বাংলার দুর্গাপুজোর নানা মুহূর্তের ছবি দেখুন একনজরে