চিনের টুঁটি চিপে ধরতে মোদীই ভরসা! সমীক্ষার রিপোর্টে জন সমর্থন ঘিরে বড় বার্তা
চিনের টুঁটি চিপে ধরতে মোদীই ভরসা! সমীক্ষার রিপোর্টে জন সমর্থন ঘিরে বড় বার্তা
তিনি মসনদে বসতেই পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এটি ২০১৪ পরবর্তী ভারত, যারা নাশকতার পাল্টা জবাব দিত জানে! ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক পাকিস্তানকে জানান দিয়ে দিয়েছিল, একচুল এগোলেই ভারত ৪ পা এগিয়ে যাবে যেকোনও মুহূর্তে। এরপর চিনের আগ্রাসন। ২০২০ সালে যখন করোনা নিয়ে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতও লড়ছে , তখন লাদাখ সীমন্তে পা রাখে চিন। এই সময়ে চিনকে কার্যত 'দম' চিনিয়ে দিয়েছে ভারত। এমন এক পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াল দেখে নেওয়া যাক।
সমীক্ষায় কী উঠে এলো?
সি ভোটার ও আইএনএসএর স্ন্যাপ পোল বলছে, গোটা দেশ এই মুহূর্তে চিনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে উদগ্রীব। বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক যেমন এই প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে একমত, তেমনই বিজেপি বিরোধী ভোট ব্যাঙ্কও চিনের বিরুদ্ধে ফুঁসছে। এমন পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা কোথায় পৌঁছল দেখে নেওয়া যাক।
চিন বড় শত্রু
শত্রুতার বিচারে পাকিস্তানকে ছাপিয়ে গিয়েছে চিন। এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু চিনকেই মনে করছেন অধিকাংশ ভারতীয়। সমীক্ষক সংস্থা সিভোটারের প্রতিষ্ঠাতার দাবি, গোটা দেশ চাইছে চিনকে যোগ্য জবাব দিক ভারত। তাঁদের সমীক্ষায় এমনই রিপোর্ট উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
পরিসংখ্যানের হিসাব
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬৮. ৩ শতাংশ ভারতীয় মনে করছেন চিন পাকিস্তানের থেকেও ভারতের বড় শত্রু। ৬০ শতাংশ ভারতীয় মনে করছেন যে চিন উপযুক্ত জবাব ভারতের থেকে পায়নি। ফলে ভারতের উচিত চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়া।
মোদীতেই ভরসা!
সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে, ৭৩.৬ শতাংশ মানুষ মোদী সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে। বিরোধী শিবিরের থেকেও বেশি মোদীকেই তাঁদের পছন্দ। চিনকে জবাব দেওয়ার প্রশ্নে দেশের বড় অংশের মানুষ মোদীর উপরেই এখনও পর্যন্ত আস্থা রেখেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
রাহুলের জনপ্রিয়তা কোথায়?
সমীক্ষা কী বলছে? আইএনএস ও সিভোটারের সমীক্ষা বলছে, মাত্র ৩৯ শতাংশ মানুষ জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করছেন এই মুহূর্তে। বাকি ৬১ শতাংশ মানুষ জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে রাহুলের পাশে নেই।
লাদাখে সংঘাতের মাঝে 'জাতীয় নিরাপত্তা'র প্রশ্নে রাহুলের জনপ্রিয়তা কোথায় গিয়ে ঠেকল!সমীক্ষা কী বলছে