১ মে থেকে ভ্য়াকসিনেশনের তৃতীয় দফা ভারতে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একনজরে
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ (ভ্যাকসিনেশন)। এদিকে, তারই মাঝে করোনর দ্বিতীয় স্রোত কার্যত ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করে দিয়েছে। বহু নাগরিকই টিকা পাওয়ার পরই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই ছবিও ফুটে উঠছে। ওদিকে, তারই মাঝে সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে আগামী ১ থেকে সারা দেশে ১৮ বছরের উর্ধ্বের সকল নাগরিক করোনার টিকা পাবেন। এই সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখা নেওয়া যাক।
এপ্রিল ৩০ এর মধ্যে কোন লক্ষ্য পূরণ?
এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে দেশের একটা বড় অংশকে টিকা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে সরকার। যে অংশের মানুষের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। এই অংশের মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারতের টিকাকরণ।
ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার কী কী হতে চলেছে?
ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ে দাম 'লিবারেলাইজ' করা হয়েছে। এর হাত ধরে ভ্যাকসিনেশনের কাজ অনেকটা কম সময়ে অনেক বেশি এগিয়ে যেত পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাজারে ভ্যাকসিন যেমন চাহিদা মতো থাকবে, তেমনই উৎপাদনও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে । এছাড়াও নতুন ভ্যাকসিন উৎপাদকরাও ভারতের বাজারে আসতে চাইবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কীভাবে চলবে ভ্যাকসিন সরবরাহ?
জানা গিয়েছে, ১ মে থেকে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের এক মাসের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশ ডোজ যাবে সরকারের কাছে। আর বাকি ৫০ শতাংস তারা রাজ্য সরকারকে সরবরাহ করতে পারবে, আবার খোলা বাজারেও সরবরাহ করতে পারবে। ফলে একটা বড় অংশের মানুষের কাছে ১ মে থেকে ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে।
দাম সম্পর্কে ঘোষণা আগেই
যে ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা খোলা বাজারে আনবে বা রাজ্যসরকারগুলিকে সরবরাহ করবে, তার দাম সংস্থাকে আগে থেকে জানাতে হবে। আর তা ১ মের আগেই জানাতে হবে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল , বাণিজ্যিক সংস্থা সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এই ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার ছাড়প্তর পেয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রাইভেট সংস্থায় ভ্যাকসিনেশনের ছাড়পত্রও মিলেছে বলে খবর।