এক লপ্তে উড়ে যাবে আস্ত শহর, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ঘিরে চাপে পাকিস্তান
দেশীয় প্রযক্তিতে তৈরি চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে ভারত। সূত্রের খবর, পরীক্ষণ হতে চলা চারটে ক্ষেপণাস্ত্রই পাকিস্তানের বড় শহরগুলিতে আক্রমণ চালাতে সমর্থ।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে ভারত। সূত্রের খবর, পরীক্ষণ হতে চলা চারটে ক্ষেপণাস্ত্রই পাকিস্তানের বড় শহরগুলিতে আক্রমণ চালাতে পারবে। একবারে উড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে বলা যায়। প্রসঙ্গত কয়েক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তানের তরফে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্রের। গজনাভি নামক সেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পাল্টা ভআরতের এই পরীক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই উত্তেজনার সৃষ্ঠি
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর গত মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজ্যটির পৃথকীকরণের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়। ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তৈরি হয় চাপা উত্তেজনার। এরই মাঝে কয়েকবার পাকিস্তানের আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান ওড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইসলামাবাদ। বালাকোট হামলার জেরে পাকিস্তান ভয়ের কারণেই অনেকবার নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। এরই মাঝে ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দেন বেশ কয়েকজন পাকিস্তানী মন্ত্রী। এই প্রেক্ষাপটে ভারতে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত স্বল্প পরিসীমায় হামলা চালাতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বী, মধ্যবর্তী পরিসীমায় হামলা চালাতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-২, সুপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোস এবং সাবমেরিন থেকে ছোড়া যা এমন দূর পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল কে-৪-এর পরীক্ষা চালাবে। পর্যায়ক্রমে নভেম্বরের ৮, ১১, ১৬ ও ২০ তারিখ এই পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
কোথায় হবে এই পরীক্ষা
এর মধ্যে কে-৪-এর পরীক্ষা করা হবে বিশাখাপট্টনমে। ডিফেন্স রিস্রাচ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাজেশন এই পরীক্ষা চালাবে। অগ্নি-২ ও পৃথ্বী-র পরীক্ষা চালানো হবে ওড়িশার চাঁদিপুরে। সেখানে এই পরীক্ষা চালাবে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড।
দুটি স্তরে পরীক্ষা হবে ব্রহ্মোসের
এদিকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রটি দুটি স্তরে পরীক্ষণ হবে। স্থল থেকে পরীক্ষার পাশাপাশি শূন্যে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করে হবে এক ফাইটার জেট থেকে। এই নিয়ে ব্রহ্মোসের এই বছর এটি সপ্তম পরীক্ষা। নতুন প্রযক্তির সংযোগের ফলে এই পরীক্ষা বলে জানা গিয়েছে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর এক আধিকারিক বলেন, "প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। আবহওয়া অনকূল থাকলে পূর্ব নির্ধারিত তারিখেই এই পরীক্ষআগুলো চালানো হবে।"
অগাস্টে কুইক রেসপন্স সারফেস মিসাইলের সফল পরীক্ষা
এর আগে চলতি বছরের অগাস্টে ভূমি থেকে আকাশে তাৎক্ষণিক আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইলের সফল পরীক্ষা করে ভারত। চাঁদিপুরের ইন্টেগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী চলমান ট্রাকের লঞ্চ ইউনিট থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা।
সুপারসনিক ব্রহ্মস
এরপর সেপ্টেম্বরের শেষে সুপারসনিক ব্রহ্মসের নতুন সংস্করণের উৎক্ষেপণের সফল পরীক্ষা করে ভারত। ভূমিতে ২৯০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শত্রুপক্ষের যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে খতম করতে সক্ষম হবে নতুন এই ব্রহ্মস। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ক্রুজ মিসাইল। ব্রহ্মস মিসাইলের নাম ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদী আর রাশিয়ার মস্কবা নদীর নামে রাখা হয়েছিল । ব্রহ্মস প্রতি ঘণ্টায় ৩৭০০ কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে আঘাত হানে লক্ষ্যবস্তুতে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানাও নিখুঁত।