বেজিংয়ের পকেট হবে গড়ের মাঠ, চিনমুক্ত বাজার গড়তে আরও কড়া পদক্ষেপ ভারতের!
চিনের উপর অর্থনৈতিক প্রতিববন্ধকতা আরোপের জন্য আরও কোমর কষছে কেন্দ্র। চিনা পণ্য দেশে আশা থেকে আটকানোর জন্য সবরকম চেষ্টা ও নিয়ম কার্যকর করা পথে হাঁটছে কেন্দ্র। চিন যাতে সিঙ্গাপোর বা মালয়শিয়া হয়ে ভারতে জিনিশ না পাঠাতে পারে তার জন্যও এবার পদক্ষেপ নিতে চলল কেন্দ্র।
চিনা পণ্য বর্জনের ডাক
লাদাখে চিনা আগ্রাসনের পর থেকেই দেশজুড়ে উঠেছে চিনা পণ্য বর্জনের ডাক। গলা মিলিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সাধারণ মানুষ। এই আবহে বাণিজ্যিক সংগঠন সিএআইটিও চিনা দ্রব্য বা ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন থেকে নিজেদের বিরত রাখার অনুরোধ করেন দেশের অভিনেতা, অভিনেত্রী ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের।
কেন্দ্র চাইছে বাণিজ্যের দ্বারে চিনের জন্য তালা আঁটতে
এর আগে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিকে বলা হয়, এবার থেকে তাঁদের ওয়েবসাইটে লিখে দিতে হবে কোন জিনিসটি কোন দেশে তৈরি। আমাজন, ফ্লিপকার্টের মতো বড় ই-কমার্স সংস্থাগুলি এর জন্য জুলাই অবধি সময় চেয়ে নিয়েছে। বাকি সংস্থাগুলি অবশ্য কেন্দ্রের নির্দেশ পালনে রাজি হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সেনার উপর চিনা হামলা পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র চাইছে বাণিজ্যের দ্বারে তালা আঁটতে। তারই পয়লা পদক্ষেপ হিসেবে এই নির্দেশ, মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
চিনা সংস্থার পণ্য ভারতে আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ
এবার অন্য দেশে তৈরি চিনা সংস্থার পণ্য ভারতে আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বসাতে পারে কেন্দ্র। যেমন কানাডা ও মালয়শিয়া থেকে ভারত কাচ আমদানি করে। তবে এই দুই দেশেই কাচ প্রস্তুতকারক সংস্থা আদতে চিনের। এতে এক ভারতের নিজেস্ব কাচ প্রস্তুতকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে ঘুরপথে টাকা ঢুকছে চিনের পকেটে। এই বিষয়টি এবার নজরে এনে তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র।
লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত বেড়েই চলেছে
লাদাখ নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত বেড়েই চলেছে। সেনা প্রতাহারের কথা বলে হলেও লাদাখে সেনা ও অত্যাধুনিক অস্ত্র বাড়াচ্ছে দুই দেশ। এহেন যুদ্ধের আবহের আঁচ গিয়ে পড়েছে অর্থনীতি ও বাণিজ্যে। এর আগে ভারতে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, ক্যাম স্ক্যানার, হেলো অ্যাপ সহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ এই তালিকায় রয়েছে।
একের পর এক প্রকল্প হাতছাড়া হচ্ছে চিনের
এছাড়া মহারাষ্ট্র ও বিহারে দুটি বড় মাপের প্রকল্প হাতছাড়া হয় বেজিংয়ের। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হয় ভারতে আর কোনও হাইওয়ে নির্মাণের জন্য প্রোজেক্টে চিনা সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে না। অর্থমন্ত্রক ও বাণিজ্যমন্ত্রক উভয়ই চিনা পণ্যের রমরমার উপর পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে৷ কারণ তা দেশীয় শিল্পগুলির ক্ষতি করছে৷ চিনের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ভারতীয় রেলের ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড। ৫জি বাজারের মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে চিনা সংস্থাগুলির অংশগ্রহণ-সহ ভবিষ্যতে চিনের বিনিয়োগকেও নিষিদ্ধ করার পথ মসৃণ করছে কেন্দ্র।