এবার গবেষণা শুরু ভারতেই! করোনা রোগীদের তথ্য ও বায়োস্পেসিমেন গবেষকদের পাঠানোর নির্দেশ হাসপাতালগুলিকে
করোনা ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক এখন বানাতে পারেনি কোনও দেশ। চেষ্টা চলছে, তবে কোনও সাফল্য় এখনও আসেনি। এরই মধ্যে করোনা নিয়ে গবেষণাকে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতে যেই হাসপাতালগুলি করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছে তাদের পাঠানো হল এক বিশেষ নির্দেশিকা।
নমুনা পাঠানোর জন্য পাঁচদিন সময়
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত এক বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রুপ ভারতে যেই হাসপাতালগুলি করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছে তাদেরকে এক নির্দেশিকা পাঠিয়ে করোনা রোগীদের তথ্য ও বায়োস্পেসিমেন গবেষকদের পাঠাতে বলল। আর এর জন্য তাদেরকে দেওয়া হল পাঁচদিন সময়সীমা।
নীতি আয়োগের নির্দেশে এই পদক্ষেপ
নির্দেশিকা পাঠানো মেডিকেল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নামক এই বিশেষ গ্রুপের প্রধান ডঃ ভিকে পাল বলেন, নীতি আয়োগের নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে এই তথ্য পাঠানো বাধ্যতামূলক হবে। সেই ভাবেই প্রতিটি হাসপাতালকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বোঝার চেষ্টা হবে ভারতেই
এই তথ্য ও বায়োস্পেসিমেনের উপর গবেষণা চালিয়েই করোনা ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করবে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্য়েই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই মারণ ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে।
করোনায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব
মারণ সংক্রমণ করোনায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতি থেকে ততদিন নিস্তার পাওয়া যাবে না, যতদিন না এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যেই গতকাল মানব শরীরে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা
ChAdOx1 nCoV-19 নামক এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের টিম বানানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছে। একটি দলকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অন্যদলকে এমন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে যা মেনিনজাইটিসের প্রতিরোধী। দুই দলের উপর কোন ওষুধ কেমন কাজ করে তা খতিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।