পরবর্তী ত্রৈমাসিক থেকেই উর্ধ্বগামী হবে অর্থনীতির বৃদ্ধির গতি, মত বিশেষজ্ঞদের
গত ছয় বছরে সব থেকে কম জিডিপি বৃদ্ধির হারের রিপোর্ট প্রকাশ হয় শুক্রবার। তবে এই আশঙ্কাজনক রিপোর্টের মাঝেই আশার কথা শোনাচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
'অর্থনীতির নিম্নগামী গ্রাফ এখানেই থেমে যাবে'
এই বিষয়ে আসেচ্যামের সাধআরণ সম্পাদক দীপক সুদ বলেন, "আমরা আশা করছি অর্থনীতির নিম্নগামী গ্রাফ এখানেই থেমে যাবে। আমরা সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে দেখলাম যে এখনও বাজারে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি না হওয়াতে শিল্পগুলি এখনও ঝিমিয়ে রয়েছে। তবে সরকারের পদক্ষেপের ফলে খুব শীঘ্রই আবার চাঙ্গা হবে বাজার।"
'কয়েকটি মাত্র ইতিবাচন পদক্ষেপ ভারকে আবারও শীর্ষে নিয়ে যাবে'
এদিকে বায়োকন সিএমডি কিরণ মজুমদার-শ বলেন, "এখান থেকে কয়েকটি মাত্র ইতিবাচন পদক্ষেপ ভারকে আবারও শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ও বিনিয়োগ আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে। অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য সরকার অনেকগুলি পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা আশাবাদী সেই পদক্ষেপগুলির ফল আমরা চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পাব।"
৪.৫ শতাংশে নেমে যায় ভারতের প্রবৃদ্ধির হার
শুক্রবার প্রকাশ পায় চলতি অর্থবর্ষের জুলাই থেকে সেম্পটেম্বরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট। দেখা যায় নিম্নগামী গ্রাফ বজায় রেখে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশে। গত আর্থিক ত্রৈমাসিকে এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। গত বছরে এই ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি হার ছিল ৭ শতাংশ। গত ছয় বছরে এটাই জিডিপি হারের নিরিখে সব থেকে কম বৃদ্ধি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে প্রথম দুই ত্রৈমাসিকে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি ৭.২ লক্ষ কোটি টাকা। যা ইতিমধ্যে সরকারের পূর্ণ আর্থিক বর্ষের বাজেটের হিসাব ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কী কারণে এই পতন?
বিশেষজ্ঞদের মত, মূলত দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি শিল্পে মন্দা, বুনিয়াদি শিল্পে উৎপাদন সংকোচন, নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্প বিনিয়োগ কমে আসা সহ বিভিন্ন কারণে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২% নেমে আসতে পারে বলে এসবিআই রিসার্চ রিপোর্টে বলা হয়েছে। এছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে কৃষি ফলন নষ্ট ও খনন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। এর আগে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ সকলেই চলতি অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির অনুমান কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল।