OIC-র 'কাশ্মীর প্রস্তাবনা'-র পর SCO-তে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, পৌরহিত্যে দিল্লি
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের কাউন্সিল অফ হেডসের বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। আজ ভারতের তরফে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন উপ-রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। ভার্চুয়ালি হবে এই বৈঠক। এসসিওতে সম্পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পর ভারত এই প্রথম সামিট স্তরের বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে চলেছে।

কোন কোন দেশ থাকবে এই বৈঠকে?
এই বৈঠকে এসসিওর সদস্য দেশ অর্থাৎ রাশিয়া, চিন , তাজিকিস্তান , কাজাখাস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন। তবে পাকিস্তানের তরফে অনুপস্থিত থাকবেন ইমরান খান। সেদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে বিদেশ দফতরের সংসদীয় সচিব। সদস্য দেশগুলি ছাড়াও এসসিওর চারটি পর্যবেক্ষক দেশ এতে অংশ নেবে।

ওআইসি-তে পাকিস্তানের কাশ্মীর প্রস্তাবনা
উল্লেখ্য, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা পাশ করা হয়, তবে কোনও আলোচনাই হয়নি তা নিয়ে। যদিও ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সেই প্রস্তাবনা তথ্যগতভাবে ভুল, ভিত্তিহীন এবং অযাচিত। যদিও শুধুমাত্র প্রস্তাবনা পাশ হওয়ার বিষয়টিকে নিজেদের 'জয়' হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। তবে তা যে বাস্তবে মূল্যহীন তা বলাই বাহুল্য।

ভারতের জবাব
ওআইসি-তে পাকিস্তানের 'কাশ্মীর প্রস্তাবনা'-র পর ভারত রবিবার বিবৃতি দিয়ে জানায়, একটি নির্দিষ্ট দেশের মাধ্যমে যে ওআইসি ব্যবহৃত হচ্ছে, তা দুঃখজনক। জম্মু ও কাশ্মীর-সহ ভারতের পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিতে ইসলামিক দেশগুলির সংগঠনের হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার নেই। ভবিষ্যতে এরকম বিষয়টি তুলে ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা ওআইসিকে পরামর্শ দিচ্ছে ভারত।

শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের আশা রাখছে ভারত
এদিকে আজকের বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট, বেলারুসের প্রধানমন্ত্রী এবং মঙ্গোলিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন এসসিও বিজ়নেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও থাকবেন। আরও জানানো হয়েছে, ৩০ নভেম্বর ১৯ তম বৈঠকে সভাপতিত্বের মাধ্যমে এসসিওর অভ্যন্তরে বৃহত্তর বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার এবং বৃহত্তর শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের আশা রাখছে ভারত।

বৈঠক নিয়ে ভারতের বক্তব্য
একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে , ভারত শান্তি, সুরক্ষা, বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রচারের জন্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্থা হিসাবে মনে করে। অর্গানাইজেশনে সক্রিয়, ইতিবাচক এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালনের মাধ্যমে এসসিওর সঙ্গে সম্পর্ক আরও প্রশস্ত করতে ভারত বদ্ধপরিকর।

তিনটি নতুন স্তম্ভ তৈরির দিকে মনোনিবেশ
ভারত সাধারণত তিনটি নতুন স্তম্ভ তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছে। তা হল, স্টার্টআপস এবং উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং ওষুধ এবং আরও অনেকগুলি বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। ভারত স্টার্টআপস এবং উদ্ভাবন সম্পর্কিত একটি নতুন বিশেষ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের এবং ওষুধের বিষয়ে একটি নতুন বিশেষজ্ঞ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।

কৃষক গর্জনে অবরুদ্ধ দিল্লি, মন্দার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা