শক্তিবৃদ্ধিতে তৎপর ভারত, চিনকে পাল্টা চোখ রাঙিয়ে ৩৫ দিনে ১০টি মিসাইল পরীক্ষা সেনার
শীতের আগে অস্ত্রভাণ্ডার বাড়াতে তৎপর ভারতীয় সেনা। আর এই লক্ষ্যেই গড়ে প্রতি ৪ দিনে একটি করে মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালাচ্ছে ডিআরডিও। এই পথে হেঁটেই আগামী সপ্তাহে ডিআরডিওর তরফে ৮০০ কিলোমিটার রেঞ্জের নির্ভয় সুপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালানো হবে। এরপরই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই মিসাইলকে ভারতীয় সেনা এবং নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ধৃত বলবিন্দর কার্গিলে লড়াই করা কমান্ডো! পাগড়ি-বিতর্কে এবার মমতাকে কড়া বার্তা অমরিন্দরের
৩৫ দিনের ব্যবধানে ১০টি মিসাইল টেস্ট ফায়ার
দেখা গিয়েছে গত ৩৫ দিনের ব্যবধানে ডিআরডিও মোট ১০টি মিসাইল টেস্ট ফায়ার করেছে। ডিআরডিও এই পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা খাতে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রকল্পকে আরও দৃঢ় করা সম্ভব হবে। এদিকে শীতকালের আগে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা না কমায় এই পরীক্ষাগুলি আরও তৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শৌর্য ও স্মার্ট-এর পরীক্ষা
৩ অক্টোবর পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন এবং সারফেস টু সারফেস শৌর্য ব্যালিস্টিক মিসাইলের নব সংস্করণ আজ সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত। এরপর ৫ অক্টোবর সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড রিলিজ অফ টর্পেডো (স্মার্ট)-এর সফল পরীক্ষা করা হয়। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর বর্ধিত পরিসীমার সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্ষেপাণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত৷
পৃথ্বী -২ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষণ
এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর ওড়িশার একটি ঘাঁটি থেকে দেশীয় প্রযুক্তিগত ভূমি থেকে ভূমি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম পৃথ্বী -২ ক্ষেপণাস্ত্রের সফলভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে ভারত। এর একদিন আগে, অর্থাৎ, ২৩ সেপ্টেম্বর উন্নত লেজার-গাইডেড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রটি মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের একটি ফায়ারিং রেঞ্জে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়।
ভারতের মিসাইল সিস্টেম আরও মজবুত
এই মিসাইলগুলির পরপর সফল পরীক্ষণের ফলে ভারতের মিসাইল সিস্টেম আরও মজবুত হয়ে যাবে। এরই মাঝে ভারতের দূরপাল্লা প্রতিরক্ষা মজবুত করতে ভারতীয় সেনা সাবসোনিক মিসাইল নির্ভয়কে নিয়ে গেল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়৷ তবে আগামী সপ্তাহের পরীক্ষার পরই এটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুক্ত করা হবে সেনায়।
যেকোনও পরিস্থিতির জন্যে তৈরি ভারত
পরপর মিসাইলের পরীক্ষণে একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত, যে যেকোনও পরিস্থিতির জন্যে তারা তৈরি। আগ্রাসন লাদাখে হোক বা সাগরে। ভারতীয় নৌসেনা থেকে বায়ুসেনা সবার ক্ষেত্রেই নতুন প্রযুক্তি সংযোজন ঘটেছে বিগত কয়েক দিনের ব্যবধানে। তাছাড়া চিনের আগ্রাসনের কডা জবাব দিতে যে ভারত প্রস্তুত, সেই বার্তাও বেজিংকে পাঠিয়েছে দিল্লি।
চিনা তৎপরতাকে নজরে রেখে প্রস্তুতি সারছে ভারত
লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সমস্যার ছয় মাস হতে চলল। এই সময়ের মধ্যে অনেক বৈঠক, আলোচনা হয়েছে, কিন্তু সমাধানের পথ বের হয়নি। আসন্ন শীতে যুদ্ধের আশঙ্কা করে লাদাখ সীমান্তে রণসজ্জা প্রস্তুত করছে ভারত। হিমালয় অঞ্চলে সেনা জওয়ানদের পাঠানো, সেনা সরঞ্জাম ও লজিস্টিক পাঠানোর মাঝেই ভারত ও চিনের মধ্যে সমঝোতা সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। তবে চিনা তৎপরতাকে নজরে রেখে প্রস্তুতি সারছে ভারতও।
লাদাখ সীমান্তে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন চিনের, বেজিংয়ের গোপন অভিসন্ধির পর্দা ফাঁস