পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের! কার্তারপুর গুরুদোয়ারা ইস্যুতে ঝাঁঝালো জবাব দিল্লির
পাকিস্তানে কার্তারপুর সাহিব গুরুদোরায়ার দায়িত্বভার শিখ নিয়ন্ত্রিত কমিটির হাত থেকে নিয়ে তা ইমরান সরকারের 'ইভাকুউই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড' বা লাহোরের ETPB এর হাতে তুলে দিয়েছে ইসলামাবাদ। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের অন্দরে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শিখ সম্প্রদায়ভূক্ত মানুষ। এরপর ভারতে তরফে এল জোরদার বার্তা।
শিখ আবেগে ধাক্কা
ভারতের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের সচিব অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, পাকিস্তানের এই একরোখা সিদ্ধান্ত অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি কার্তারপুর সহেবে করিডরের ভাবনা ও শিখ আবেগের বিরোধী। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে বলে বিশ্বের বহু শিখ গোষ্ঠী মত প্রকাশ করেছে। সেই বিষয়টিই ভারত এদিন তুলে ধরেছে।
মুখোশ খুলে গিয়েছে পাকিস্তানের
ভারত দাবি করেছে, এমন এক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে গিয়েছে। যে পাকিস্তান সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে যা বলে, তারই ঠিক উল্টো পথে হেঁটে শিখ সম্প্রদায়কে আঘাত করেছে পাকিস্তান। দিল্লির দাবি, পাকিস্তানের মুখোশ এদিন খুলে গিয়েছে এই সিদ্ধান্তের হাত ধরে।
কী ঘটেছে পাকিস্তানে
সামনেই ৯ নভেম্বর। যেদিন কার্তারপুর গুরুদোয়ারার বার্ষিকী অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রবন্ধক কমিটি একাধিক বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে। সেখানে অনুষ্ঠানসূচিও কার্যত চূড়ান্ত করা হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে যেখানে সামনেই নানক জয়ন্তী তার আগে শিখ ধর্মের ওপর এমন এক আঘাত পাকিস্তানে সরকারের বিরুদ্ধে শিখ সম্প্রদায়ের রোষ দ্বিগুণ করেছে। প্রসঙ্গত, ইমরান সরকার গুরুদোয়ারার 'শিখ গুরুদোয়ারার প্রবন্ধক কমিটি ' থেকে এই নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়ে তা ইসলামাবাদের নিয়ন্ত্রণাধীন 'ইভাকিউই ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড'(ETPB)এর হাতে তুলে দিয়েছে।
আকালি দলের বিরোধিতা
এদিকে, পাকিস্তানের বুকে এমন এক পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবের আকালি দল ব্যাপক ভাবে ক্ষুব্ধ। দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, যেকোনও মূল্যে পাকিস্তানে যেন শিখ সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়, এই ধর্মীয়স্থানের নিয়ন্ত্রণ। তাদের দাবি, শিখ সংক্যালঘুদের ওপর এটা চরম আঘাত।