একের পর এক মিসাইলের সফল পরীক্ষণ, স্মার্ট-এর সংযোজনে আরও শক্তিশালী ভারতীয় নৌসেনা
সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড রিলিজ অফ টর্পেডোর (স্মার্ট) সফল পরীক্ষণ করল ভারতীয় সেনা এবং ডিআরডিও। এদিন ওড়িশার বালাসোরে উপকূলের কাছে হুইলার দ্বীপের রেঞ্জ থেকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। ভেলোসিটি রিডাকশন মেকানিজম পদ্ধতিতে চালিত এই মিসাইলের পরীক্ষণে দেখা যায় প্রতিটি প্যারামিটার সঠিকভাবে কাজ করেছে।
রাজনাথের অভিনন্দন বার্তা
এই পরীক্ষা সফল হওয়াতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই বিষয়ে একটি টুইট করেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, 'সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড রিলিজ অফ টর্পেডোর সফল পরীক্ষণ চালিয়েছে ডিআরডিও। এর ফলে এরপর সাবমেরিন স্ট্যান্ড অফে ভারতীয় নৌসেনা অ্যাডভান্টেজে থাকবে।'
যে কোনও পরিস্থিতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপ সম্ভব
পরীক্ষণের পর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানান, লঞ্চ প্যাড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ, গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ ও লক্ষ্যবস্তুতে টার্গেট, সবকিছুই সঠিকভাবে হয়েছে। স্মার্ট' টর্পেডো ওজনে হাল্কা। অনেক দূর অবধি নিশানা করা যায় এই ক্ষেপণাস্ত্র। দিনে ও রাতে, আবহাওয়ার যে কোনও পরিস্থিতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপ সম্ভব।
মিসাইলে শক্তিশালী রেডার রয়েছে
এছাড়াও এই মিসাইলে শক্তিশালী রেডার, ইলেকট্রো অপটিক্যাল সিস্টেম রয়েছে। সমুদ্রে গভীরে লড়াই চালানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র তৈরির চেষ্টা গত এক দশক ধরেই চলছিল। এর আগে বিদেশ থেকে টর্পেডো কেনা হচ্ছিল। গত দু'সপ্তাহ ধরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে চলেছে ডিআরডিও।
একাধিক মিসাইলের সফল পরীক্ষণ
চলতি সপ্তাহে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম)-এর পরীক্ষাতেও পাশ করে গেছে ডিআরডিও। এছাড়া শৌর্য মিসাইলের নতুন সংস্করণের সফল পরীক্ষণ করে ভারত। এই মিসাইলগুলির পরপর সফল পরীক্ষণের ফলে ভারতের মিসাইল সিস্টেম আরও মজবুত হয়ে যাবে।
স্বয়ং ট্রাম্প হয়ে গেলেন 'সুপার স্প্রেডার'! মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাণ্ডজ্ঞানহীনতায় অবাক সবাই