অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন অগ্নি–প্রাইমের পরীক্ষা সফল, যুদ্ধক্ষেত্রে আরও একধাপ এগোলো ভারত
বছর শেষ হওয়ার আগেই বড়সড় সফলতা পেল ভারত। শনিবার ভারত অগ্নি প্রাইম মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করে। সরকারি সূত্রের খবর, বালাসোরে ওড়িশার উপকূল থেকে এই পরীক্ষণ করা হয়েছে। অগ্নি-পি অগ্নি শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন প্রজন্মের উন্নত রূপ।
অগ্নি প্রাইম মিসাইল উৎক্ষেপন
জানা গিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের মারক ক্ষমতা ১ হাজার থেকে ২ হাজার কিমি পর্যন্ত রাখা হয়েছে। অগ্নি প্রাইম মিসাইলের এটি দ্বিতীয় পরীক্ষা। শনিবার সকাল এগারোটার সময় বালাসোরের এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে এই পরীক্ষা করা হয়।
নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ
এই পরীক্ষার সময় পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষম কৌশলগত অগ্নি প্রাইমে অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। সরকারি এক কর্মকর্তার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'মিসাইল পরীক্ষা উচ্চ স্তরের নির্ভুলতার সঙ্গে তার সমস্ত মিশনের উদ্দেশ্য পূরণ করেছে।' এ বছরের ২৮ জুন একই জায়গা থেকে প্রথম সফল পরীক্ষা করা হয়েছিল অগ্নি প্রাইম মিসাইলের।
রাজনাথ সিংয়ের অভিনন্দন
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিফেন্স ও রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-কে এই মিসাইল সফলতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ডিআরডিও-এর এই পারফর্মের জন্য নিজের খুশি প্রকাশ করেছেন। ডিআরডিও তার বিবৃতিতে বলেছে, 'সকাল ১১টা ৬ মিনিটে ডিআরডিও এই মিসাইলের পরীক্ষা করে। টেলিমেট্রি, রাডার, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল স্টেশন এবং পূর্ব উপকূলে অবস্থানরত ডাউনরেঞ্জ জাহাজগুলি ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ এবং পরামিতিগুলি ট্র্যাক এবং পর্যবেক্ষণ করে। মিসাইল নির্দিষ্ট গতিপথ অনুসরণ করে, সঠিক ভাবে মিশনের সমস্ত উদ্দেশ্য পূরণ করে।'
রেল–সড়কপথে উৎক্ষেপন যোগ্য অগ্নি প্রাইম
জানা গিয়েছে, অগ্নি প্রাইম ব্যালিস্টিক মিসাইলের ওজন অগ্নি-৩-এর চেয়ে ৫০ শতাংশ কম এবং এটি রেল ও সড়ক থেকেও উৎক্ষেপন করা যাবে। শুধু তাই নয়, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা যায় এবং অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তা অনুসারে গোটা দেশের যে কোনও স্থানে নিয়ে যাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর ভারত ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূল থেকে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের এয়ার ভার্সন সফলতাপূর্বক পরীক্ষণ করা হয়েছিল। তার আগে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের অ্যান্টি শিপ ভার্সনেরও সফলতাপূর্বক পরীক্ষণ করা হয়েছিল। এই মিসাইলের পরীক্ষণ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আগামী কিছুদিনদের মধ্যেই ডিআরডিও আরও কয়েকটি ব্যালেস্টিক মিসাইল ও ক্রুজ মিসাইলের অত্যাধুনিক সংস্করণের পরীক্ষণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।