পরবর্তী চিন হওয়ার স্বপ্ন অধরা, কী কারণে বাংলাদেশের থেকেও পিছিয়ে গেল ভারত?
১৯৯০ সালে ভারত যখন মুক্ত অর্থনীতির পথে হাঁটতে শুরু করে, তখন থেকেই দেশের স্বপ্ন চিনকে ছাপিয়ে গিয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে দাঁড়ানো। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও ভারতের থেকে এগিয়ে যাবে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
মাথাপিছু জিডিপির নিরিখে ভারত প্রতিবাশী বাংলাদেশেরও নিচে
১৯৭১ সালে যেই বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল ভারত। আর সেই বাংলাদেশই এবার ভারতকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ছাপিয়ে যেতে চলেছে। বুধবারই প্রকাশ হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক' রিপোর্ট। সেই রিপোর্টেই বলা হয় যে মাথাপিছু জিডিপির নিরিখে ভারত প্রতিবাশী বাংলাদেশেরও নিচের ধাপে চলে যাবে চলতি অর্থবছরে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞদের দাবি, মূলত, কম দক্ষতা শ্রম রফতানির উপর কম জোর দেওয়াতেই ভারতের এহেন পরিস্থিতি। আর এখানেই এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সহ এশিয়ার আরও বিভিন্ন দেশ, যেমন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপিনসও ভারতের থেকে অনেক বেশি জোর দিয়েছে কম দক্ষতা শ্রম রফতানির উপর। তবে বর্তমানে মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের প্রকল্পের মাধ্যমে সেই কম দক্ষতা শ্রম রফতানির উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
ভারতের জিডিপি ১০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে
আইএমএফ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি ১০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। এর জেরে দেশের অর্থনীতির উপর বিশাল প্রভাব পড়তে চলেছে। 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক' রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের মাথাপিছু জিডিপি নেমে দাঁড়াবে ১৮৭৭ ডলারে। এদিকে এই সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৮৮৮ ডলারে।
চিনকে ছাপিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন আপাতত অধরা
এই আবহে চিনকে ছাপিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন আপাতত অধরাই থেকে যাবে ভারতের। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদী আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দেন, তবুও, চলতি বছরে ভারত অর্থনৈতিক ভাবে পুরোনো গতিতে ফিরতে অক্ষম থাকবে। অবশ্য যেই রিপোর্টে নিয়ে এত হইচই তাতে এও বলা হয়েছে যে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত দ্রুতই ফিরবে উন্নয়নের পথে।
২০২১ সালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮.৮ শতাংশ
আইএমএফ জানাচ্ছে, ২০২১ সালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮.৮ শতাংশ। এর ফলে ফের বিশ্বের সব থেকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে ভারত। এই একই সময় চিনের ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। এদিকে চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতি ৪.৪ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হবে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
মার্কিন মুলুকে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে ২.২ কোটি ভোট, ওয়ার্মআপ পর্বে এগিয়ে কোন নেতা?