কোভিড ভ্যাকসিন কেন নেওয়া উচিত, উপকারিতা নিয়ে বড়সড় তথ্য প্রকাশ্যে
কোভিড ভ্যাকসিন কেন নেওয়া উচিত, উপকারিতা নিয়ে বড়সড় তথ্য প্রকাশ্যে
কোভিডের দ্বিতীয় স্রোত কার্যত সুনামির আকার নিতে শুরু করে দিয়েছে দেশে। প্রবল সংহারে এই মারণ ভাইরাস ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। এই সংহার থামানোর একমাত্র উপায় 'চেইন ব্রেক' করা। আর সেই কারণেই মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য লকডাউনের আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও বহু মৃত্যু সংবাদ উঠে আসছে ভ্যাকসিনগ্রহীতাদের ঘিরে। সেই জায়গা থেকে জল্পনা চরমে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত? যার উত্তরে সামনে আসছে একাধিক তথ্য।
করোনা থেকে বাঁচতে উপায়
আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে টেস্টিং, ট্র্য়াকিং এবং আইসোলেশন, মাস্ক , স্যানিটাইজার যেমন করোনা রুখতে প্রয়োজনীয়, তেমনই এটি প্রয়োজন ভ্যাকসিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার দানবীয় দ্বিতীয় স্রোত রোখার অন্যতম বড় উপায় ভ্যাকসিন। আর এই বক্তব্য রাখার নেপথ্যে তাঁরা সামনে আনছেন একাধিক পরিসংখ্যান।
কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা
বহুজনই ভ্যাকসিন নিয়ে বেশ সংশয়ে রয়েছেন। অনেকেরই প্রশ্ন ভ্যাকসিন গ্রহণের পর অসুস্থতা সম্পর্কে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারতে যে দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিরাপদ। এতে যে সাইড এফেক্ট হচ্ছে তা খুবই অল্প। অল্প জ্বর, পেশীতে ব্যথা, মাথা ধরা এগুলি সবই ভ্যাকসিনের সাইড এফেক্ট, যা নিয়ে ভয় পেতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা
কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ০.০৪ শতাংশ মানুষ। আর কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর দেশে কোভিডের কবলে পড়েছেন ০.০৩ শতাংশ ভারতবাসী। এমনই তথ্য দিয়েছে সরকার। এছাড়াও বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিন গ্রহণ করা থাকলে করোনার গভীরতা শরীরে সেভাবে বড় প্রভাব ফেলতে পারেনা। আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়।
দৈনিক আক্রান্ত ৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল, সর্বকালীন রেকর্ড, প্রতি মিনিটে আক্রান্ত ২০০-র বেশি
রক্ততঞ্চন ও ভ্যাকসিন
বেশ কয়েকটি রিপোর্টে কোভিশিল্ড নেওয়ার পর রক্ততঞ্চনের খবর রয়েছে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের ঘিরে। তবেএই ঘটনা অত্যন্ত বিরল বলে দাবি করছেন বহু চিকিৎসক। ভ্যাকসিন ও তঞ্চন প্রক্রিয়ার সরাসরি যোগ নিয়ে বহু বিশেষজ্ঞই সন্দিহান বলে মতামত দিচ্ছেন। সরকারের তরফে তুলে ধরা পরিসংখ্যান বলছে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ১.১ কোটি ভারতবাসী পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৯৩ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪২০৮ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ভারতে ১০ কোটি মানুষকে। ১.৫ জন পেয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজের পর ১৭,১৪৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।