দেশে বেকারত্বের হার আকাশচুম্বী! করোনা ভাইরাসের বিশ্ব মহামারীর কোপে কর্মসংস্থান
করোনা ভাইরাসের বিশ্ব মহামারীর কোপে পড়ল দেশের কর্মসংস্থান। ভারতে বেকারত্বের হার বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারীর প্রকোপে দেশে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ২৭.১১ শতাংশে।
করোনা ভাইরাসের বিশ্ব মহামারীর কোপে পড়ল দেশের কর্মসংস্থান। ভারতে বেকারত্বের হার বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারীর প্রকোপে দেশে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ২৭.১১ শতাংশে। করোনা রুখতে দেশের সমস্ত অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সঙ্কট তীব্রতর হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতির রাস্তা আপাতত বন্ধ।
ভারতের বেকারত্বের হার
গত ৩ মে সপ্তাহান্তে ভারতের বেকারত্বের হার ২৭.১১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ১৫ মার্চ সপ্তাহান্তে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৭৪ শতাংশ। মনিটরিং সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ভারতীয় অর্থনীতি এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। বেকারত্বের হার সেই তুলনায় ২১.০৫ শতাংশ বেড়েছে। আর ২৬ এপ্রিল সপ্তাহান্তে বেকারত্বের হার ছিল ২৬.১৯ শতাংশ।
শহুরে অঞ্চলে বেকারত্বের হার
মুম্বই-ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক বলেছে, শহুরে অঞ্চলে বেকারত্বের হার সর্বাধিক ছিল। যার মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বেশিরভাগ রেড জোন অন্তর্ভুক্ত ছিল। গ্রামাঞ্চলে এই হার ছিল ২৬.১৬ শতাংশ। শহরে ছিল তুলনায় অনেক বেশি ২৯.২২ শতাংশ। ২৬ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে শহুরে বেকারত্বের হার ছিল ২১.৪৫ শতাংশ আর গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বের হার ছিল ২০.৮৮ শতাংশ।
সিএমআইইর তথ্য অনুসারে
সিএমআইইর তথ্য অনুসারে, এপ্রিল মাসে মাসিক বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ২৩.৫২ শতাংশ, যা মার্চের তুলনায় ৮.৭৪ শতাংশ বেড়েছে। সিএমআইই-র সাপ্তাহিক সিরিজ ভারতে কোভিড-১৯ মহামারী বা করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে বেকারত্ব বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করেছে। ২৯ মার্চ সপ্তাহান্তে বেকারত্ব বেড়ে হয় ২৩.৮১ শতাংশ।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ লকডাউনে
২৪ মার্চ দেশব্যাপী লকডাউন আরোপের সঙ্গে সঙ্গেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক আকার ধারণ করে। বেশিরভাগ বিশ্লেষক এবং অর্থনীতিবিদরা এখন এই আর্থিক বছরের জন্য দেশের জিডিপির সম্ভাব্য সংকোচনের পূর্বাভাস দিয়েছেন। এমএসএমই এবং অসংগঠিত খাতে কর্মসংস্থান তীব্রভাবে আঘাত হানবে বলে মনে করছেন তাঁরা।