গতবারের থেকে ধান রোপন কমেছে প্রায় ৪৬%! আদৌ কি কমবে ফারাক, নাকি 'অন্য পথে' কৃষকরা
দেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই বর্ষা (South West Monsoon) পৌঁছে গিয়েছে। তার ওপরে নির্ভর করে চাষবাস শুরু হয়েছে। দেশের কৃষকরা এখনও পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন হিসেব ধরলে ১.৯৬ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে ধান রোপন ( Rice Plantation) করেছেন।
দেশের
বেশিরভাগ
জায়গাতেই
বর্ষা
(South
West
Monsoon)
পৌঁছে
গিয়েছে।
তার
ওপরে
নির্ভর
করে
চাষবাস
শুরু
হয়েছে।
দেশের
কৃষকরা
এখনও
পর্যন্ত
গ্রীষ্মকালীন
হিসেব
ধরলে
১.৯৬
মিলিয়ন
হেক্টর
জমিতে
ধান
রোপন
(
Rice
Plantation)
করেছেন।
তবে
এই
পরিসংখ্যান
গত
বছরের
তুলনায়
৪৬
শতাংশ
কম।
মূলত
দুর্বল
বর্ষার
কারণে
এই
পরিস্থিতি
বলে
কৃষিমন্ত্রকের
রিপোর্টে
উল্লেখ
করা
হয়েছে।
এমনই
খবর
প্রকাশিত
হয়েছে
একটি
সর্বভারতীয়
সংবাদ
মাধ্যমে।
দেশের কৃষি নির্ভর করে বর্ষার ওপরে
আমাদের দেশের কৃষিকাজ বর্ষার নির্ভর। দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় চাষ হয় এই বর্ষার সময়ে। কেননা দেশের অর্ধেক কৃষি জমিতে সেচের সুবিধা নেই। অন্যদিকে কৃষিতেই দেশের অর্ধেক কর্মশক্তি নিয়োজিত।
বৃষ্টির ঘাটতি কমেছে, ধান রোপন বাড়বে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপাতত বর্ষা শুরু হয়েছে। তার আগে গ্রীষ্মকালীন বর্ষা দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বৃষ্টির ঘাটতি ৩৬ শতাংশ থেকে কমে ২ শতাংশ হয়েছে। ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার্সের তরফে বলা হয়েছে, সবে বর্ষার ধানের রোপন শুরু হয়েছে। বর্ষার সঙ্গে সঙ্গে ধানের আওতাধীন এলাকা বাড়তে পারে।
ইতি মধ্যেই অবশ্য দেশে জল ও শ্রমের ব্যবহার কমাতে ধানের নতুন ভ্যারাইটির রোপন শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন ফসলের রোপন বর্ষাতেই
দেশের
কৃষকরা
সাধারণভাবে
ধান,
ভুট্টা,
তুলো,
সয়াবিন,
আখ,
চিনাবাদম
এবং
অন্য
ফসল
রোপন
শুরু
করেন
জুন
থেকে।
সেই
সময়েই
দেশে
বর্ষার
আগমন।
এই
রোপন
চলে
জুলাই
মাস
পর্যন্ত।
গত
বছর
তুলো
চাষের
এলাকা
৩.৭৩
মিলিয়ন
হেক্টর
থাকলেও
এবার
তা
হয়েছে
৩.১৮
মিলিয়ন
হেক্টরে।
কেননা
গুজরাত
ও
মহারাষ্ট্রের
তুলা
চাষের
এলাকায়
এবার
বর্ষার
বৃষ্টি
এখনও
পর্যন্ত
কম।
২০২১-এ
তৈলবীদ
১.২৫
মিলিয়ন
হেক্টর
জমিতে
চাষ
হলেও
এবার
তা
২,৭৮,০০০
মিলিয়ন
হেক্টর
জমিতে
হয়েছে।
অন্যদিকে
চাল-ডালের
আবাদ
করা
জমি
গত
বছরের
১৩২,
০০০
হেক্টরের
তুলনায়
বেড়ে
২০২,০০০
হেক্টরে
গিয়ে
দাঁড়িয়েছে।
তবে
জুন
থেকে
সেপ্টেম্বর
মৌসুমী
বায়ুর
অগ্রগতির
ওপরে
এই
রোপনের
পরিসংখ্যান
নির্ভর
করে।
তবে
এবার
ডালের
চাষ
কিছুটা
কমতে
পারে
এবং
তা
তুলা
ও
সয়াবিনের
দিকে
যেতে
পারে।
অন্দিকে
৫.০৭
হেক্টর
জমিতে
আখের
চাষ
প্রায়
অপরিবর্তিতই
রয়েছে।
পরিসংখ্যানে কিছু সংশোধনের সম্ভাবনা
দেশে বর্ষা চলে জুন থেকে সেপ্টেম্বর। এরপর তা কোথাও কম এবং কোথাও বেশি। ফলে মৌসুমী বায়ুর ওপরেও রোপনের পরিসংখ্যান নির্ভর করে। ফলে পরে তা সংশোধন করা হয়।