For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

ভারতে সংবাদমাধ্যমের কী আদৌ কোনও স্বাধীনতা আছে, দেখুন কি বলছে আন্তর্জাতিক মহল

গৌরী লঙ্কেশদের মতো সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা সংবাদমাধ্য়মের স্বাধীনতার তালিকায় পিছিয়ে দিচ্ছে ভারতকে।

  • By Amartya Lahiri
  • |
Google Oneindia Bengali News

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন সন্ত্রাসের ছবি রোজই সামনে আসছে। ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। তাই বিরোধীদের রোখার নানান কৌশল নেওয়া হয়েছে। প্রায় সব বিরোধী দলই শাসকের হাতে নিগৃহিত হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার শাসক অভিযোগ করছে সন্ত্রাসের আমদানি করছে বিরোধীরাই। সবচেয়ে আশঙ্কার হামলার শিকার হতে হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমার প্রতিনিধিদেরও। হুমকি-ধমকি তো আছেই, কখনও কোনও মহিলা সাবাদিককে অপহরণ করা হচ্ছে, কখনও ছবি তোলার 'অপরাধে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ক্যামেরা, লুঠ হয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন, ঘড়ি। কখনও মনোজগতে সন্ত্রাস ছড়াতে প্রায় নগ্ন করে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রাখা হচ্ছে সাংবাদিকদের। সংবাদমাধ্যমার এই গলা টিপা ধরা পরিবেশটা খুবই উদ্বেগের।

ভারতে সংবাদমাধ্যমের কী আদৌ কোনও স্বাধীনতা আছে, দেখুন কি বলছে আন্তর্জাতিক মহল

রাজনৈতিক দলগুলির নিজেদের মার-পাল্টা মারের খেলা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। যেরকম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'সিপিএম কি ভুলে গিয়েছে নিজেদের সন্ত্রাসের কথা?' বস্তুত যেখানে যখন যে দলের জোর তারাই বল প্রয়োগ করে। আর তাদের মাঝখানে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বলি হোন সাংবাদিকরা। শুধু তো পশ্চিমবঙ্গ নয়, গত কয়েক বছরে গোটা ভারতবর্ষেই এই প্রবণতা বাড়ছে।

রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, সাংবাদিকরা সত্য নয়, তাদের দেওয়া তথ্য পাশ করবেন শুধু। না মানলেই তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা দেখেছি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে খুন হতে হযেছে গৌরী লঙ্কেশকে। ভারতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা যে ক্রমশ হারাচ্ছে এই অভিযোগ সাংবাদিকদের অনেকদিনের। স্বভাবতই কোনও রাজনৈতিক দলই তা মানতে চায় না। নানা অসাড় যুক্তি দিয়ে সে অভিযোগ খন্ডন করা হয়। কিন্তু এবার এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষাতে সেই অভিযোগই মান্যতা পেল।

আন্তর্জাতিক ওযাচডগ সংস্থা 'রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডার্স' তাদের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছে, গত একবছরে ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অনেকটাই কমেছে। তারা সারা বিশ্বের১৮০টি দেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে প্রতি বছর এক তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় ভারত দুই ধাপ নেমে ১৩৮ তম স্থান পেয়েছে। তারা বলছে গত এক বছরে সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা বাড়াই ভারতের এই তালিকায় পিছিয়ে পড়ার কারণ। তালিকায় এক নম্বরে নাম রয়েছ নরওয়ের। এই নিয়ে পরপর দু'বছর তারা এই সম্মান পেল। সে দেশের সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করেন। পাশাপাশি সবচেয়ে দমবন্ধকর অবস্থা কিম জং আনের উত্তর কোরিয়ায়। প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া একটা শব্দও প্রকাশিত হওয়ার জো নেই এই দেশে। এদিক থাকা উত্তর কোরিয়ার পরেই রয়েছে এরিত্রেয়া, তুর্কমেনিস্তান, সিরিয়া এবং চিনের নাম।

ভারতে সংবাদমাধ্যমের কী আদৌ কোনও স্বাধীনতা আছে, দেখুন কি বলছে আন্তর্জাতিক মহল

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের পাশাপাশি ভারতে আরেকটি বাড়তে থাকা প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ' রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডার্স'। এই দেশে ক্রমশ ঘৃণামূলক অপরাধের ঘটনা বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে তারা। তাদের স্পষ্ট মত এই বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি প্রধাণমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই। তাদের রিপোর্টে বলে হয়েছে, '২০১৪ সালে নরান্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হিন্দু মৌলবাদিরা সাংবাদিকদের হিংস্র ভাষায় আক্রমণ করা শুরু করেছে।

যে কোনও তদন্তমূলক সাংবাদিকতা যদি শাসক দলের মাথাব্যথার কারণ হয়, বা কেউ যদি হিন্দুত্বের কোনরকম সমালোচনা করে, তাহলেই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক বা লেখকের ওপর অনলাইনে অপমানের বন্যা বইছে। তাকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর অধিকাংশ আক্রমণই আসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্যাঙাত বাহিনীর দিক থেকে।' গোরী লঙ্কেশ সহ আরও দুই ভারতীয় সাংবাদিক তাদের কাজ করার অপরাধে প্রাণ হারিয়েছেন বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বলা হয়েছে আরও অনেক নাম তাদের কাছে আছে বিভিন্ন কারণে যাদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।

English summary
'physical violence' against journalists like Gauri Lankesh made India to fall two places to 138 in the Press Freedom Index.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X