বিদ্যুতের ব্যবহার গত বছরের মে মাসের তুলনায় দেশে ২৫ শতাংশ বেড়েছে, কোন ইঙ্গিত দিতে শুরু করল পরিসংখ্যান
বিদ্যুতের ব্যবহার গত বছরের মে মাসের তুলনায় দেশে ২৫ শতাংশ বেড়েছে, কোন ইঙ্গিত দিতে শুরু করল পরিসংখ্যান
২০২০ সালে মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থেকে দেশে ছিল লকডাউন। মে মাসে পরিস্থিতি বেশ গম্ভীর হয়ে উঠেছিল। লকডাউন তখন যেমন কড়া বিধির মধ্যে ছিল, তেমনই করোনার প্রথম স্রোতে ভারত বেশ বিপর্যস্ত ছিল। তবে সেই প্রথম স্রোতের তুলনায় দ্বিতীয় স্রোতে বিদ্যুতের ব্যবহার ক্রমেই বাড়তে দেখা যাচ্ছে। যার পরিসংখ্যান মে মাসের প্রথম সপ্তাহের নিরিখে একটি তুলনামূলক ছবি তুলে ধরেছে।
বিদ্যুতের খরচের তুলনামূলক হিসাব
বিদ্যুতের ব্যবহার দেশে ২০২০ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহের চেয়ে ২০২১ সালের প্রথম সপ্তাহে হু হু করে বাড়ছে। আর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ার ফলে বাড়ছে তার খরচের অঙ্কও। এমন তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, গত বছর দেশে মে মাসে ছিল লকডাউন। আর এখন বিভিন্ন জায়গা স্থানীয় লকডাউন রয়েছে। এই দুইয়ের ফারাকের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক তথা শিল্পকে ঘিরে বড় বার্তা উঠে আসতে শুরু করেছে।
কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক?
এদিকে, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের দাবি, ২০২০ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ২১.০৫ বিইউ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। যা ২০২১ মা মাসে ১০২.০৮ বিইউ হয়েছে। ফলে এর থেকে স্পষ্ট যে ভারতে শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে। যা আগের থেকে নিজেকে স্বাভাবিক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছর লকডাউনের জেরে শিল্পায়নের গতি ধাক্কা খায়। তবে এবার তা পুরোন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে বলে ইঙ্গিত।
মেতে হু হু করে বাড়ছে চাহিদা
মন্ত্রকের পরিসংখ্যানের রিপোর্ট বলছে, এই মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ ছিল বলে দেখা গিয়েছে। এবছর এই চাহিদা ছিল ১৬৬.২২ জিডাব্লিউ। যা আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড ১৬১ জিডাব্লিউকে ছাপিয়ে যায়। এই ট্রেন্ডকে ইতিবাচক ট্রেন্ড হিসাবে ধরে নিচ্ছেন বহু বিশ্লেষক।
লকডাউন ও কিছু সম্ভাবনা
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের দাবি, যদি স্থানীয় লকডাউন শিল্প কারাখানা এলাকাগুলিতে এই গতিতেই চলতে থাকে, তাহলে শিল্পের উৎপাদন ক্ষেত্র ধ্বসে যাবে। ফলে ফের একবার দেশজুড়ে লকডাউন বিপদ ডাকতে পারে শিল্পের ক্ষেত্রে। এছাড়াও এরই সঙ্গে শিল্প ক্ষেত্রের বৈদ্যুতিক ব্যবহার কমতে থাকবে। যা নিঃসন্দেহে একটি আশঙ্কাজনক দিক।
করোনায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেয়ে মমতার রাজ্যে, সুস্থ হয়ে রোগী ফিরছেন যোগী রাজ্যে