প্রথমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখোমুখি মোদী-বাইডেন, কোয়াড বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব
প্রথমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। এদিন কোয়াড সম্মেলনে মুখোমুখি হতে চলেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এর আগে দুই বার ফোনালাপ করলেও এই প্রথম কোনও বৈঠকে মুখোমুখি হচ্ছেন মোদী-বাইডেন। যদিও এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি একে অপরের সামনে থাকবেন দুই নেতা।
বৈঠকে থাকবেন কারা কারা?
এদিকে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানদের ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিদে সুগা। কোয়াড মূলত প্যাসিফিক অঞ্চলে তিনকে প্রতিহত করে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা চার দেশের জোট।
ভারতে টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে আর্থিক চুক্তি
এদিকে জানা গিয়েছে ভারতে করোনা রোধক টিকার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে আর্থিক চুক্তি করা হতে পারে এই বৈঠকে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ভারতের এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করার জন্যই জরুরি আর্থিক চুক্তি করতে পারে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া। এর ফলে ভারতে করোনা টিকার উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন সংস্থা নোভ্যাভ্যাক্স এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের হয়ে ভারতীয় সংস্থাদের করোনা টিকা প্রস্তুত করার লক্ষ্যে চুক্তিটি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, চিনের টিকা কূটনীতিকে প্রতিহত করতেই ভারতকে সাহায্য করবে বাকি দেশগুলি।
আরও যা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে
এছাড়াও বৈঠকে আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখা, বিশ্ব শান্তি বিষয়ক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এই দেশগুলির মধ্যে আরও সমন্ময় বাড়ানোর লক্ষ্যেও আলোচনা হবে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, জল সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা হবে।
কোয়াডের প্রেক্ষাপট
১৯৯২ সাল থেকে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মালাবার নৌমহড়া শুরু করেছিল ভারত। পরে ২০১৫ সালে জাপানও যোগ দেয় এই মহড়ায়। ২০১৭ সালে ভারত, জাপান ও আমেরিকা ত্রিপাক্ষিক নৌমহড়া হয় বঙ্গোপসাগরে। সেই ত্রিদেশীয় মহড়ায় পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগ দিতে চেয়ে অনুরোধ জানায় অস্ট্রেলিয়া। এভাবেই গড়ে ওঠে কোয়াড। বাণিজ্যিক ও রণকৌশলগতভাবে চিনকে ঠেকাতে এই চার দেশের জোটের বিশেষ গুরুত্ব আছে বলেই মনে করা হয়।