লকডাউন শিথিলেও জুলাই মাসে ভারতের শিল্প উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ১০.৪ শতাংশ!
জুলাই মাসে ভারতের শিল্প উৎপাদন ১০.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, সরকারের তথ্যে এমনটাই দেখা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ লকডাউনের পর অর্থনীতির চাকা সচল করতে জুন-জুলাই থেকে ধাপে ধাপে শিথিল করা হয় লকডাউন। তবে আনলকের এই প্রক্রিয়া চালু হলেও করোনার চাপে ধস নেমেছে দেশের অর্থনীতিতে। তা কোনও ভাবেই সঠিক পথে ফিরছে না। এহেন অবস্থায় জিডিপি বৃদ্ধির হারে বেহাল দশা দেখেছে সবাই। আর তার মূলে রয়েছে উৎপাদনে ঘাটতি।
শিল্প প্রবৃদ্ধি এখনও পর্যন্ত ২৯.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে
সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবছরের পর্থম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুলাই) শিল্প প্রবৃদ্ধি এখনও পর্যন্ত ২৯.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৩.৫ শতাংশ। পরিসংখ্যান ও প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন মন্ত্রকের তথ্যেই এই সব তথ্য সামনে এসেছে।
১৩ মাসে প্রথমবার শিল্প খাতের উৎপাদন সংকুচিত
ভারতে ১৩ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো শিল্প খাতের উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে। গত অক্টোবরেও ভারতে ইনডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বা শিল্প উৎপাদনের সূচক (আইআইপি) ৯.৮ শতাংশ বেড়েছিল, যা প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এবার যে সেই হার তলানিতে গিয়ে ঠেকবে তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। করোনার প্রকোপ এবং লকডাউনের জেরে অর্থনীতি থমকে গিয়েছিল দেশে।
অতিমারী করোনার জেরে অর্থনীতিতে ধস
কয়েকদিন আগে ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অতিমারী করোনার জেরে গত ৪০ বছরে সব থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে জিডিপি। আর এর জেরে ভারতের উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্নে লেগেছে ধাক্কা।
দেশে বিনিয়োগ কমেছে ৪৭ শতাংশ
করোনার ধাক্কায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে গত বছরের এপ্রিল-জুন সময়ের চেয়ে ৩১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে প্রবৃদ্ধির হার। এ ছাড়া এই সময়ে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন খাত ৩৯.৩ শতাংশ এবং নির্মাণ খাত ৫০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। বাণিজ্য খাতে সঙ্কোচন দেখা গিয়েছে ৪৭ শতাংশ। বিনিয়োগও কমেছে ৪৭ শতাংশ।
লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফিরবে জয়শঙ্কর-ওয়াং বৈঠকের পর? নির্ভর করছে একজনের উপর!