করোনা আবহে ভারতীয় অর্থনীতির জন্য সুখবর! সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে ক্রমে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ
করোনা আবহে দেশের অর্থনীতির চাকা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে ফেরাতেই আনলক ১ চালু হয়েছে। দেশকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই এর লক্ষ্য। এই অবস্থায় দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে এরই মধ্য এক দারুণ সুখবর ভারতের জন্য।
গত সপ্তাহে ৩.৪৩ বিলিয়ন ডলার জমা হয়েছে
করোনা আবহেও দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে জমা পড়েছে ৩.৪৩ বিলিয়ন ডলার। যার ফলে দেশের বর্তমান ফরেন এক্সচেঞ্জ রিসার্ভ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৩.৪৮ বিলিয়ন ডলারে। যা ভারতের জন্য সর্বকালের রেকর্ড।
সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি
এর আগে ৩১ মে পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.০০৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৪৯০.০৪৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এই মুহুর্তে গোটা দেশ জুড়ে বন্ধ উৎপাদন। চরম অর্থনৈতিক সংকট এর মুখে সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা। পাশাপাশি আক্রমণ হয়েছে পঙ্গপালের। সার্বিক ভাবে অর্থনৈতিক সংকটের সময় এই খবর একটু স্বস্তি দিল।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার
এর আগে দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে ফেরাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। সেখানে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও এদিন আশঙ্কাবাণী শোনা যায় খোদ আরবিআই-এর গভর্নরের গলায়। ২০২০-২১ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নেতিবাচক থাকবে বলে এদিন জানান তিনি।
বছরের দ্বিতীরার্ধে উর্ধ্বমুখী হবে অর্থনীতি
অবশ্য তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে আর্থিক বছরের দ্বিতীরার্ধে সেই হার কিছুটা উর্ধ্বমুখী হবে। তিনি জানান আরবিআই-এর সব পদক্ষেপের মূলে রয়েছে তিনটি লক্ষ্য - বাজারের পরিস্থিতির উন্নতি হয়, বাণিজ্যে অগ্রগতি হয়, আর্থিক চাপ কমে, রাজ্য সরকারগুলির আর্থিক সংকট কমে।
শক্তিকান্ত দাসের আশঙ্কাবাণী
শক্তিকান্ত দাস আশঙ্কাবাণী প্রকাশ করে জানান, বিশ্ব বাণিজ্যের পরিমাণ এ বার ১৩ থেকে ৩২ শতাংশ কমে যেতে পারে। তাই বছরের দ্বিতীয়ভাগে দেশের আর্থিক অবস্থা ঠিক হতে পারে বলে আশা ব্যক্ত করলেও এদিন তিনি জানান, দেশের অর্থনীতিতে লকডাউনের প্রভাব থাকবে৷ অর্থনীতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷ তিনি বলেন, সবজি, দুধ ও অন্য খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি হয়েছে৷ খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আরও কিছু মাস চলবে৷