ভারতের প্রথম মানববাহী ড্রোন ‘বরুণা’র নৌ-সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির অপেক্ষা, দেখুন ভিডিও
ভারতের প্রথম মানববাহী ড্রোন হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে ‘বরুণা’। সেই ‘বরুণা’ এবার নৌ-সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। পুনেতে ভারতীয় স্টার্টআপ সাগর ডিফেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিডিট দ্বারা তৈরি হয়েছে ‘বরুণা’।
ভারতের প্রথম মানববাহী ড্রোন হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছে 'বরুণা'। সেই 'বরুণা' এবার নৌ-সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। পুনেতে ভারতীয় স্টার্টআপ সাগর ডিফেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিডিট দ্বারা তৈরি হয়েছে 'বরুণা'। দেশের প্রথম মানববাহী এই ড্রোন জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত নৌ উদ্ভাবন ও দেশীয়করণ সেমিনারের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেখানো হয়েছিল।
'বরুণা'র ডিজাইন ও নির্মাণকারী সংস্থার দাবি, তরল সরঞ্জাম এবং মানবজাতি-সহ একটি মানসম্মত পেলোড সংযুক্তি-সহ পণ্যগুলি সরাতে পারে। এই যাত্রীবাহী ড্রোন, দূরবর্তীভাবে নিয়ন্ত্রিত বা পূর্ব নির্ধারিত রুট বরাবর স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়ে যায়। এর ল্যান্ডিং গিয়ারের মাঝখানের এলাকায় বিভিন্ন পেলোড ধরে রাখতে পারে। এটি ১৩০ কেটি পর্যন্ত পেলোড বহন করার ক্ষমতা রাখে। মাত্র ৩০ মিনিটে ২৫ কিমি অতিক্রম করতে পারে।
বরুণা-নির্মাতা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ক্যাপ্টেন নিকুঞ্জ পরাশর ও তাঁর দুই সহ প্রতিষ্ঠাতা বাবর এবং লক্ষে ডাং ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ড্রোনটি ডিজাইন করেছেন। এই ড্রোনটির একমাত্র উদ্দেশ্য হল দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে সম্মুখ যোদ্ধাদের রক্ষা করা। জাতির নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে ইনকিউব করা যায়। এবং মাঠেও নামানো যায়।
#WATCH | ‘Varuna’ country’s first human-carrying drone, developed by the Indian startup Sagar Defence Engineering, will soon be inducted into Indian Navy pic.twitter.com/RhyjvAYn1E
— ANI (@ANI) October 5, 2022
বাবর বলেন, যখন প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল, তখন সংস্থার প্রাথমিক উদ্বেগ ছিল এই প্রকল্পের জন্য ছাড়পত্র মিলবে কি না। তারপর ছাড়পত্রও মিলেছে, মিলেছে তহবিল। ভারতীয় নৌবাহিনী দেশজ প্রযুক্তিতে বানিয়েছেন ভারতের প্রথম মানববাহী ড্রোন 'বরুণা'কে। ভারতীয় স্টার্টআপ সাগর ডিফেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিডিট নৌবাহিনী, আইডেক্স দল এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দ্বারা হ্যান্ডবোল্ডিং পেয়ে ধন্য হয়েছিল। তাদের সঙ্গে প্রস্তুতকারদের একটি দলকে সংযুক্ত করা হয় এবং অর্থায়নের জন্য ডকইয়ার্ড লিমিটেডকেও সংযুক্ত করা হয়। এই যাত্রীবাহী ড্রোনটি সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকারী। বিশেষ কার্যকারী বন্যাদুর্গত এলাকায়। খুব দ্রুত তা হতাহতদের স্থানান্তরিত করতে কাজে লাগে।
নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যন্ত গ্রামে অনেক ক্ষেত্রেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্, ব্যবহার করা যায় না। তার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এই যাত্রীবাহী ড্রোন। যাত্রীবাহী ড্রোন বরুণার সাহায্যে দ্রুত দুর্গত মানুষজনকে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে। নৌবাহিনী 'বরুণা' ড্রোনকে ব্যবহার করে এয়াললিফ্টিং করতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স হিসেবে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। মেট্রো শহরে এয়ার ট্যাক্সি হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে এই ড্রোনকে। জরুরি স্থানান্তর, দুর্যোগে ত্রাণ এবং জরুরি চিকিৎসায় খুবই উপযোগী হবে বরুণা, এমনটাই মনে করছে নৌবাহিনী।