চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে মুখ খুললেন রাজনাথ সিং! ভারতের তরফে দেওয়া হল কোন বার্তা?
লাদাখের ডেমচক, গালওয়ান ও প্যাংগং এবং উত্তর সিকিমের নাথুলার একাধিক জায়গায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও চিনা সেনার উত্তেজনা এখনও জারি রয়েছে। তবে সেই সমস্যা মেটাতে সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায় আলোচনা চলছে। এমনটাই জানালেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই প্রথম চিনের সঙ্গে চলমান এই অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ট্রাম্পের প্রস্তাব
এর আগে ভারত-চিন-এর মধ্যকার এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'ভারত ও চিনের মধ্যে বিরাট দ্বন্দ্ব চলছে। দুই দেশেই ১.৪ বিলিয়ন করে মানুষ বসবাস করেন। দুই দেশেরই সেনা শক্তিশালী। এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ভারত এখন খুশি নয়। আর চিনও সম্ভবত অখুশি।' এরপরেই তিনি বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি। চিনের সঙ্গে তাদের যে দ্বন্দ্ব চলছে তা নিয়ে তিনি খুশি নন।'
ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ভারতের
যদিও ভারত চিন সীমান্ত নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর কথা বলার বিষয়টি অস্বীকার করে। ভারতরে তরফে বলা হয়, শেষবার ৪ এপ্রিল মোদী ও ট্রাম্পের ফোনে কথা হয়েছে। সেই সময় করোনার আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারত থেকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পৌঁছে দেওয়া নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হয়। এরপর দুই নেতার কোনও কথা হয়নি।
বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য
বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, 'সীমান্ত ইশুতে বেজিং ও দিল্লি তৎপর। আমাদের সেনাবাহিনীর অত্যন্ত দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। সমস্ত নিয়ম, প্রোটোকল ও উভয় দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করব।'
ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করে চিন
এরপর ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে প্রত্যাখান করে চিনও। শুক্রবার বেজিংয়ের তরফে এই বিষয়ে জানানো হয়, ভারত এবং চিন নিজেদের সমস্যা কথা বলে মিটিয়ে নিতে সমর্থ। এতে কোনও ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হস্তক্ষেপ করতে হবে না। দিল্লি ও বেজিং নিজেরাই কথা বলে বিষয়টিকে মিটিয়ে নেবে। এর আগে বুধবার চিনের তরফে বলা হয় ভারতে সীমান্তের সঙ্গে পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
লাদাখ সীমান্তে চিনের সৈন্য সমাগম
যদিও এরই মধ্যে লাদাখ সীমান্তের চিনের দিকে ১৫টি ট্যাঙ্ক ও সৈন্য সমাগম হচ্ছে বলে জানা যায়। একটি স্যাটেলাইট ইমেজে এই ছবি ফুটে উঠতেই ভারত-চিন সম্পর্ক আরও ঘোলাটে হয়ে পড়েছে। এদিকে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বারবার দাবি করা হচ্ছে চিনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। তাতেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার নাম করছে না।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মোদীর বৈঠক
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী সেনা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেনাপ্রধান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সেই বৈঠকে ছিলেন আরও তিনজন। যারা তিন বছরের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন। এরা হলেন জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। তবে সেবার প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।
আসতে চলেছে ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর, ট্রাই-এর সুপারিশে পুরোপুরি বদলে যাবে পরিষেবার রূপ