ভারতে ১০ দিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, পরিসংখ্যানে ধরা পড়ছে কোন ট্রেন্ড
নববর্ষের সকালেই দেশের বুকে দুঃসংবাদ দিয়ে করোনায় আক্রান্তে দৈনিক সংখ্যা ছুঁয়েছে ২ লাখের ঘর। এদিকে, যে হারে গত কয়েকদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দেশে হু হু করে বেড়েছে, তাতে বেশ কয়েকটি পরিসংখ্যান করোনার ভয়াবহতাকে প্রকাশ করছে।
করোনা পরিস্থিতি ও ভারত
দেখা গিয়েছে , ভারতে ১ লাখ করোনা আক্রান্ত যেদি হয়েছে, সেদিনের পর থেকে প্রতিদিনের হিসাবে দেখলে ১০ দিনের মধ্যে দেশে দ্বিগুণ হয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিসংখ্যানই জানাচ্ছে যে করোনার জেরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি ও ভারত
পরিসংখ্যান বলছে, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি বিচার করা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে সেদেশে করোনার নয়া স্রোতে ১ লাখ থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখে পৌঁছতে ২১ দিন লেগেছে। গত বছর ৩০ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডের দৈনিক আক্রান্ত ছিল ১ লাখ। তারপর ২০ নভেম্বর তা দৈনিক আক্রান্তের বিচারে ২ লাখ হয়। সেদিক থেকে ভারতের ট্রেন্ড ব্যাপক ভয়াবহ বলে দাবি অনেকের।
সোমবারের পরিসংখ্যানে কমতি দেখা যায় কেন?
গত ১০ দিনে ভারতের করোনার দৈনিক আক্রান্তের ট্রেন্ডে সোমবারগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যায় কমিত দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে , কেন এভাবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় কমতি দেখা যাচ্ছে? যে তথ্য উঠছে এর জবাবে তা হল, শনি ও রবিবার টেস্টিংয়ের পরিমাণ কমছে। এর নেপথ্যে বহু জায়গায় কর্মীদের সপ্তাহান্তের ছুটি একটি কারণ। যার ফলে সোমবারগুলিতে কোভিডের রিপোর্টে আক্রান্তের সংখ্যার ট্রেন্ড কমতির দিকে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও ১০ দিনে প্রায় ২ লাখ ছুঁই ছুঁই অবস্থা গত রাতেই দাঁড়ায় ভারতের দৈনিক আক্রান্তের গ্রাফে।
মৃতের সংখ্যা ভাবাচ্ছে
নয়া করোনা স্রোতের নিরিখে এই প্রথম আজ ভারতে মৃতের সংখ্যা পার করল ১০০০ এর গণ্ডি। সেদিক থেকেও পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। গত বছর ২ রা অক্টোবরের পর মৃত্যুর এই পরিস্থিতি প্রথমবার এমনভাবে উদ্বেগে রাখছে পরিসংখ্যানের হাত ধরে। দেশের এমন এক অবস্থার নেপথ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরল, বিহার, উত্তর প্রদেশ, তেলাঙ্গানা, পাঞ্জাবের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য।