ফের ১৩ হাজার পার করল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধি
ফের ১৩ হাজার পার করল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় রেকর্ড বৃদ্ধি
ফের বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। এক লাফে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৮৩,৯৯০ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৩১৩ জন। মারা গিয়েছেন ৩৮ জন। বেরেছে মৃতের সংখ্যাও। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১০,৯৭২ জন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে দেশে। একের পর এক নেতা মন্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে করোনা আক্রান্ত। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালও করোনা আক্রান্ত। ওদিকে আবার করোনা কাটিয়ে সদ্য হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কাজেই করোনা সংক্রমণ যে ধীরে ধীরে থাবা চওড়া করতে শুরু করেছে দেশে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
দেশের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এক লাফে ২৩০৩ জন বেড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর দেশের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ০.১৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রথম দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু ঘটেছিল। তার পর সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫,২৪,৯৪১ জন। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২৩ জুন রয়েছে ২.০৩ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণ ফের উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরল এবং কর্নাটকে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও করলে সামান্য পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৯০ জন। করোনা সংক্রমণ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক করোনা পরীক্ষার উপরে জোর দিয়েছেন। করোনা পরীক্ষা বাড়লেই চিহ্নিত করা যাবে আক্রন্তকে।
এদিকে আবার পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখনও রাজ্যে করোনা বিধি তেমন কড়া করা হয়নি। তবে মহারাষ্ট্র সরকার ফের করোনা বিধি কড়া করেছে। মাস্ক পরা ফের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হতে শুরু করায় দিল্লিতেও ফের মাস্ক বিধি কড়া করা হয়েছে। করোনার চতুর্থ ওয়েভ জুলাই মাসে আসবে বলে সতর্ক করেছিলেন গবেষকরা। সেই পথেই এগোচ্ছে গোটা সংক্রমণের সংখ্যা। তাই করোনা টিকাকরণেও জোর দেওয়া হয়েছে। শিশুদের করোনা টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে।