গোরক্ষকদের আন্দোলনের জের, কমেছে চামড়া রপ্তানি, বাড়ছে কর্মহীনের সংখ্যা
দেশে গোরক্ষকদের আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে রপ্তানি শিল্পেও। কষাইখানা বন্ধ এবং গরুর বিক্রি বন্ধের জেরে জুন মাসের চামড়ার জুতো রপ্তানি কমেছে ১৩ শতাংশের বেশি
দেশে গোরক্ষকদের আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে রপ্তানি শিল্পেও। কষাইখানা বন্ধ এবং গরুর বিক্রি বন্ধের জেরে জুন মাসের চামড়ার জুতো রপ্তানি কমেছে ১৩ শতাংশের বেশি। আমদানি কারকদের পছন্দের তালিকায় এখন চিন, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান।
যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সাল নাগাদ, দেশের লেদার ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরির সংখ্যা দ্বিগুণ করার ডাক দিয়েছেন, সেখানে জুতো এবং চামড়ার অন্য জিনিসের রপ্তানিতে এই নিম্নগতি বিপত্তি তৈরি করছে।
২০১৪ সালে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে গোরক্ষকদের আন্দোলন বাড়তে থাকে। দেশে মুসলিমদের দ্বারা পরিচালিত কষাইখানা এবং লেদার ইন্ডাস্ট্রির ওপর আঘাত নেমে আসে বলে অভিযোগ। দেওয়াল লিখন তখনই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, জুতো রপ্তানিকারক পার্ক এক্সপোর্টের সিইও নাজির আহমেদ। সোনার ডিম দেওয়া হাঁসকেই আমরা মেরে ফেলেছি বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
বিশ্বে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম জুতো ও চামড়ার দ্রব্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। এই রপ্তানি শিল্পে ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ৫.৭ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয়েছে। যা আগের বছরের তেকে ৩.২ শতাংশ কম।
উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেখানকার লাইসেন্সবিহীন কষাইখানাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে দেশব্যাপী বেশির ভাগ কষাইখানাগুলি অসংগঠিত ক্ষেত্রে। ফলে সেখানে অনুমোদন পাওয়াটাও শক্ত ব্যাপার বলেই জানিয়েছেন ছোট কষাইখানার মালিকরা।
দেশে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলতে থাকার প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতেও। এইচ অ্যান্ড এম, ইন্ডিটেক্সের মতো সংস্থা ভারত থেকে তাঁদের আমদানির পরিমাণ কমিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ের রপ্তানিকারক রফিক আহমেদ। বেশিরভাগ আমদানিকারক ভারতকে ছেড়ে এশিয়া এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলিকে বেছে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে এই শিল্পে জিএসটি লাগু হওয়ায় প্রোডাকশন ৬ থেকে ৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে জানিয়েছেন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা।