পাকিস্তানকে আর 'সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত' দেশের তকমা দেওয়া যায় কি? পর্যালোচনায় ভারত
নয়াদিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর : গত বছরের অন্তিম লগ্নে যেভাবে দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল, এবছরের শুরুতেই পাঠানকোট ও এখন উরিতে জঙ্গি হামলা ফের নতুন করে দু'দেশের মধ্যে বৈরিতার সম্পর্ক তৈরি করেছে। সম্পর্ক এখন এতটাই তিক্ত যে ফের নতুন করে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে দু'দেশের মধ্যে। ['সিন্ধু জল চুক্তি' দিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে চাইলে তা ব্যুমেরাং হতে পারে ভারতের কাছে!]
প্রথমে সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পর্যালোচনার পরে এবার পাকিস্তানকে দেওয়া সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের তকমা নিয়েও পর্যালোচনা করছে ভারত। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বৈঠক হতে চলেছে। [জাপানি ওয়্যারলেস সেট নিয়ে উরিতে হামলা চালিয়েছে পাক জঙ্গিরা, প্রমাণ পেল সেনা]
জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রক ও অর্থ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। উরি হামলার পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের উপরে কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর যে কৌশল নেওয়া হয়েছে, এটি তারই অঙ্গ বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৯৬ সালে বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সাধারণ বানিজ্য চুক্তি অনুযায়ী ভারত পাকিস্তানকে সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত বানিজ্য প্রতিনিধির তকমা দেয়। অ্যাসোচেমের রিপোর্ট বলছে, ২০১৫-১৬ সালে ভারতের মোট বানিজ্যের পরিমাণ যেখানে ৬৪১ বিলিয়ন ডলার, সেখানে পাকিস্তানের বিনিয়োগ মাত্র ২.৬৭ বিলিয়ন ডলার।
ভারত যেখানে ফি বছর গড়ে পাকিস্তানে ২০০ কোটি ডলারের বানিজ্যিক পণ্য রফতানি করে, সেখানে পাকিস্তানের এদেশে রফতানির পরিমাণ মাত্র ৫০০ মিলিয়ন ডলার। ফলে পাকিস্তানকে সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের তকমা আর দেওয়া উচিত কিনা তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
বস্তুত, সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী বৈঠকের পরই কড়া বক্তব্য পেশ করেছেন। তিনি বলেছেন, রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না। অর্থাৎ উরির হামলার সঙ্গে একইসঙ্গে সিন্ধুর জল পাকিস্তানকে ছাড়া যেতে পারে না। যদি পাকিস্তান সন্ত্রাসের রাস্তা থেকে না ফেরত আসে, তাহলে সিন্ধু চুক্তি ভেঙে দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে ভারত।