আর্থিক সমৃদ্ধিতে এগিয়েও লিঙ্গ সাম্যতার সূচকে অনেকটা পিছিয়ে পড়ল ভারত
দ্বিতীয় মোদী সরকারের সংসদে মহিলা সাংসদের সংখ্যা বাড়লেও গোটা দেশে লিঙ্গ বৈষম্য যে এখন প্রবল, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিশ্ব লিঙ্গ সাম্যতা সূচক। ১২৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৯৫।
দ্বিতীয় মোদী সরকারের সংসদে মহিলা সাংসদের সংখ্যা বাড়লেও গোটা দেশে লিঙ্গ বৈষম্য যে এখনও প্রবলভাবে রয়েছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিশ্ব লিঙ্গ সাম্যতা সূচক। ১২৯টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৯৫। সামাজিক, আর্থিক সব দিক থেকে সমীক্ষা করেই এই সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। এই সূচকে ভারতের অবস্থানই স্পষ্ট করে দিচ্ছে আর্থিক বিকাশ হলেই যে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হয়ে যায় এমন ঘটনা বিরল। ভারতে যা একেবারেই অসম্ভব।
দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদের সেন্ট্রাল হলে দাঁড়িয়ে মোদী বলেছিলেন, বিজেপির এই বিপুল জয়ের সিংহভাগ নাকি মা-বোনেদের ভোট থেকেই এসেছে। সংসদে মহিলা সাংসদের সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সংসদ আর ভোট বাক্স যে গোটা দেশে সামাজিক ক্ষেত্রে নারীর অবস্থান উন্নত করতে পারে না সেটা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল এই সমীক্ষায়।
ব্রিটেনের একটি সংস্থা আফ্রিকান ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, এশিয়া স্পেশিফিক রিসোর্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ফর ওমেন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল ওমেনস হেলথ কোয়ালিশনের উদ্যোগে বিশ্বের ১২৯টি দেশের উপর সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষার মাপকাঠি ছিল দারিদ্রতা , স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক অবস্থান। এই সব কটি নিরিখেই লিঙ্গ সাম্যতায় ডাঁহা ভেল করেছে মোদীর উৎকর্ষ ভারত।
এর থেকেই স্পষ্ট সামাজিক উন্নয়নে ভারত এখনও কতটা পিছিয়ে। এই সূচকে শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক। প্রথম বিশ্বের দেশ বলে নিজেদের দাবি করলেও চিন কিন্তু রয়েছে ৭৪ তম স্থানে। বাংলাদেশ এবং নেপালের থেকেও খারাপ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১১৩তম স্থানে। বাংলাদেশ সেখানে ১০২ এবং নেপাল ১১০।