রাওয়ান্ডা থেকেও পিছিয়ে রয়েছে ভারত! কী রকম হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন?
রাওয়ান্ডা থেকেও পিছিয়ে ভারত! কী রকম হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন?
পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি হোক বা পরবর্তী প্রজন্মকে সোনার মোড়কে ভরিয়ে দেওয়ার কথা হোক। বর্তমান সরকার কিন্তু ভারতকে বিশ্বের এক নম্বরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের স্বপ্নের কথা বলে। তবে আদতে পরিস্থিতি কতটা সরকারের দাবি অনুযায়ী?
ইউনিসেফ ও হু-এর রিপোর্ট
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের যৌথ একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। তাতে বলা হয় আমাদের দেশের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। ক্রমতালিকার নিরিখে ভারত এই দিক দিয়ে আফ্রিকার অন্যতম গরিব দেশ রাওয়ান্ডারও নিচে রয়েছে। তালিকায় ভারতের স্থান ১৩১-এ।
এত নিচে কেন ভারত?
কী কারণে এত নিচে ভারত? রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এদেশে থাকতে গেলে খাদ্য, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক পরিস্থিতির সঙ্গে বিশাল মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়া পরিবেশ দূষণের দিকটাও ভারতের পরবর্তী প্রজন্মকে খুব ভোগাবে বলে বলা হয় রিপোর্টে।
ভারতে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন
শিশুদের উপর যৌন নির্জাতনও এই অন্ধকার ভবিষ্যতের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এবং দুঃখের বিষয় শিশুদের উপর এই জাতীয় অত্যাচার রোখার বিষয়ে সামাজিক সাহায্য খুবই কম দেশে। এছাড়া পরিবেশ দূষণ, নতুন নতুন রোগ বা খরা দেশের মানুষদের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারে। যাতে প্রভাবিত হবে পরবর্তী প্রজন্মও!
শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি
এর আগে ইউনিসেফের একটি রিপোর্ট জানায়, শিশু এবং তরুণদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের গুরুত্ব দেওয়া এবং খাদ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা এই বছর বিশ্বব্যপী ভালো ফল এনেছে। তবিও দেখা যাচ্ছে অপুষ্টির কারণে শিশুদের মস্তিষ্কে প্রভাব পড়ছে। গার্ম ও শহরতলিগুলি মূল শহরে অন্তর্গত হওয়ায় ও পরিবেশ দূষণের জেরে এই সমস্যা আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে।
রাজ্যের শিশুরাও অপুষ্টিতে ভুগছে
বিশ্বজুড়ে শিশুরা অপুষ্টির তিনগুণ বোঝার মুখোমুখি হচ্ছে। রাজ্যের ক্ষেত্রএও পরিস্থিতি সোচনীয়। রাজ্যে অপুষ্টি দূরিকরণের জন্য পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলি হল, পরিবার, শিশু এবং যুবক-যুবতীদের পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা বাড়িয়ে তোলা এবং পুষ্টি বিষয়ক শিক্ষার উন্নতি।