বাড়ছে সুস্থতার হার, ভারতেও করোনা চিকিৎসায় ডেকসামেথাসোন ব্যবহারের অনুমতি মিলল
বাড়ছে সুস্থতার হার, ভারতেও করোনা চিকিৎসায় ডেকসামেথাসোন ব্যবহারের অনুমতি মিলল
সাধারণ একটি কমদামি চর্মরোগের ওষুধ কামাল করছে করোনা চিকিৎসা। করোনাকে জব্দ করে সুস্থ হয়ে উঠছেন ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীরাও। অক্সফোর্ডের গবেষকরা করোনা চিকিৎসার একটি দিগন্ত খুলে দিয়েছেন। এবার ভারতেও সেই ওষুধ ব্যবহারের ছাড়পত্র মিলেছে।
ডেকসামেথাসোন ব্যাবহারের অনুমতি
ব্রিটিশ গবেষকদের কাছ থেকেই প্রথম করোনা চিকিৎসার এই ম্যাজিক ওষুধের সন্ধান মেলে। চর্মরোগ সারানোর কমদামি স্টেরয়েডেই মাত হচ্ছিল করোনা ভাইরাস। এবার ভারতেও এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি মিলল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মিথাইলপ্রিডনিসোলোনের বিকল্প হিসেবে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
করোনা জব্দ ডেকসামেথাসোনে
সামান্ন একটা ওষুধ। সর দেশেই এই ওষুধের ব্যবহার রয়েছে। দামও বেশি নয়। এমন একটি স্টেরয়েডে কাবু হয়ে যাচ্ছে করোনার মতো মারণ ভাইরাস। গত একমাস ব্রিটেনের অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে ওই ওষুধের ব্যবহার উদ্ধার করতে পেরেছেন। অনেকটা প্যান্ডুরাবক্স খুলে যাওয়ার মতই অবস্থা হয়েছে গোটা বিশ্বের। করোনাকে জব্দ করতে গোটা বিশ্বেই এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও।
হাইড্রোক্লোরেকুইন ব্যবহারে বিপদ
প্রথমে করোনাকে জব্দ করতে হাইড্রোক্লোরোকুইন ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু তাতে করোনা মুক্ত হওয়ার চেয়েও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছিল। সেকারণে এই ওষুধের প্রয়োগ করোণা চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তার পরে মিথাইলপ্রিডনিসোলোন ব্যবহার শুরু হয় করোনা চিকিৎসা। কিন্তু সেটাও বিপদমুক্ত িছল না।
আক্রান্ত সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি
ভারতে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ। একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষ। এখনও পর্যন্ত যা রেকর্ড বলে জানানো হয়েছে। যদিও সুস্থতার হার ভারতে অনেকটাই বেশি।