৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাকলগ্নে ভারত! দেশের সংগ্রামের ইতিহাস জানতে কোন কোন বই পড়বেন জেনে নিন
৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাকলগ্নে ভারত! দেশের সংগ্রামের ইতিহাস জানতে কোন কোন বই পড়বেন জেনে নিন
সামনেই আসছে ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস। ছোট থেকেই ইতিহাস বই থেকে শুরু একাধিক পত্র, পত্রিকার হাত ধরে ভারতের স্বাধীন সংগ্রামের আগুন ঝরানো দিনগুলির কথা জেনেছে ভারতবাসী। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই সঙ্তটময় দিনগুলিতে অবিভক্ত ভারতের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল তা কি আজও সঠিক ভাবে জানি আমরা ? আজও খুঁটিয়ে ইতিহাসকে জানার বা ইতিহাসকে প্রশ্ন করার সাহস দেখায় ক'জন? যাঁরা এই সৎসাহস রাখেন, তাঁদের জন্য রইল কিছু অবশ্যপাঠ্য বইয়ের তালিকা।
ডমিনিক ল্যাপিয়ার ও ল্যারি কলিন্স-এর 'ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট'
ডমিনিক ল্যাপিয়ারের এই বইটি ১৯৪৭-৪৮ সাল নাগাদ ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের রাজনীতিকে বর্ণনা করে লেখা। লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সময় থেকে শুরু করে গান্ধীজির মৃত্যু পর্যন্ত তৎকালীন ভারতের কূটনৈতিক আলোচনা পাওয়া যাবে 'ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইটে'।
জওহরলাল নেহেরুরু 'দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া'
১৯৪২-৪৬ সাল নাগাদ পরাধীন ভারতবর্ষের মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের দুর্গে বন্দি থাকাকালীন বইটি রচনা করেন স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু। সিন্ধু সভ্যতা থেকে আরম্ভ করে ভারতবর্ষের উত্থান ও ব্রিটিশ আমলে ভারতের পতনকে নিজজ্ঞানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন নেহেরু।
খুশওয়ান্ত সিংয়ের 'ট্রেন টু পাকিস্তান'
১৯৫৬ সালে প্রকাশিত খুশওয়ান্ত সিংয়ের এই বইটি আদতে ১৯৪৭-এর ভারতভাগের উপর ভিত্তি করে রচিত। 'মানো মাজরা' নামক একটি ধর্মীয় সংকীর্ণতায় পূর্ণ কাল্পনিক সীমান্তবর্তী গ্রামকে ঘিরে গল্পটি গড়ে উঠেছে। একটি শিখ ছেলে ও মুসলিম মেয়ের প্রেমকাহিনী গল্পটিকে অন্যমাত্রা দেয়।
রামচন্দ্র গুহর 'ইন্ডিয়া আফটার গান্ধী'
ব্রিটিশদের হাত থেকে হৃত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার পরে স্বাধীন ভারতের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে উক্ত বইয়ে সুচারু ভঙ্গিমায় বর্ণনা করেছেন ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ। ২০১১ সালে 'ইন্ডিয়া আফটার গান্ধী' সাহিত্য অ্যাকাডেমী পুরস্কার পায়।
শশী থারুরের 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেল'
শশী থারুরের উপন্যাসটি আদতে একটি রম্যরচনা, যেখানে ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় রাজনীতির প্রাঙ্গনে উপস্থিত ব্যক্তিত্বদের প্রায় ২০০০ বছর পুরনো 'মহাভারত'-এর চরিত্রদের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই রচনায় তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অতি নিপুণভাবে বিদ্রুপ করেছেন থারুর।
আঁচল মালহোত্রার 'রেমন্যান্টস অফ আ সেপারেশন'
মূলত বস্তুবাদের আঙিনায় ফেলে ভারত বিভাজনের সময়ের চালচিত্রকে তুলে ধরেছে এই একটিমাত্র বই। দেশভাগের সময়ে এদেশে আশ্রয় নিতে আসেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গের ভিন্ন ভিন্ন বস্তুর বিষয়ে আঁচল মালহোত্রার গবেষণা বইয়ের প্রত্যেক পাতায় ফুটে উঠেছে।
ই.এম.ফর্স্টারের 'আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া'
টাইম ম্যাগাজিনের 'সর্বকালের ১০০ উপন্যাস'-এর তালিকায় ই.এম.ফর্স্টারের বইটির নথিভুক্তির কারণ হল লেখকের নিজস্ব অভিজ্ঞতা। ভারতে এসে ব্রিটিশরাজের ভুল এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন নিজচক্ষুর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেছেন ফর্স্টার।
অ্যালেক্স ভন তানজিলমানের 'ইন্ডিয়ান সামার'
তালিকায় আগের বইগুলির মতোই এই বইটিও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে ব্রিটিশশাসনের শেষদিন পর্যন্ত বর্ণনা করে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে ভারতের স্বাধীনতার দিনটিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে 'ইন্ডিয়ান সামার' অনবদ্য।
পরিযায়ী সঙ্কট থেকে করোনা মোকাবিলা! স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশের আসল ত্রাতা ভারতীয় রেল