ভারতের সুনির্দিষ্ট কৌশলের প্রয়োজন, সিডব্লিউসি বৈঠকে কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ে ফের সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারতের সুনির্দিষ্ট কৌশলের জরুরি প্রয়োজন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে দেশকে অবশ্যই অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞের এর জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে করোনা নিয়ে আলোচনা
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুল গান্ধী এ বিষয়ে বলার পাশাপাশি দলের সুপ্রিমো সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনোমোহন সিং ও দলের অন্য শীর্ষ নেতারা ভিডিও কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাস্থ্য সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন। এই বৈঠকের পর রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, ‘আজকে কংগ্রেসের সিডব্লিউসি বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য দেশের একটি সুনির্দিষ্ট কৌশলের প্রয়োজনের ওপর আমি জোর দিয়েছিলাম এবং সমাজের গরীব ও দুর্বল স্তরের লোকেদে জন্য দলের কর্মীরা যাতে প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে সাহায্য করেন।'

কেন্দ্রকে আক্রমণ রাহুলের
এই বৈঠকে দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত করছে প্রবীণ নাগরিকদের, যাঁদের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে, ডায়বেটিক, হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে।' সমস্ত রাজ্য সরকারকে এই বিভাগগুলির জন্য বিশেষ উপদেষ্টা জারি করা এবং যত্ন নেওয়া দরকার বলে এই বৈঠকে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তিনি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি থেকে গত দু'মাস ধরে কোভিড-১৯ দেখে যাচ্ছি আমরা এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্বের কোনও দেশই পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের থাকার ব্যবস্থা, খাবার এবং রেশন ব্যবস্থা না করে এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে না দিয়ে লকডাউন করার চেষ্টা করেনি।'


শ্রমিকদের মারধর করা হচ্ছে, দাবি প্রিয়াঙ্কার
সিডব্লিউসির বৈঠকে এআইসিসির জেনারেল সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র দাবি করেন যে উত্তরপ্রদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের অমানবিকভাবে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের ওপর কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে।' তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে এইসব ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের বাড়িতে পৌঁছানোয় সহায়তা করার বদলে পুলিশ-প্রশাসন তাঁদের মারধর করছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা শ্রমিকদের খাবার ও ওষুধ দিয়ে সহায়তা করবেন।'