কোভিড কেস বৃদ্ধির জের, ভারতের খুব অল্প ভ্যাকসিন সরবরাহের সম্ভাবনা, উদ্বেগে গাভি
ভারতের খুব অল্প ভ্যাকসিন সরবরাহের সম্ভাবনা
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশকে ভারত ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। তবে আচমকা দেশে বাড়তে থাকা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে গোটা বিশ্বে খুব অল্প সংখ্যাক ভ্যাকসিন সরবরাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনিসেশন বা গাভির প্রধান।
ভারত অল্প সংখ্যক ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে
গাভির সিইও শেঠ বার্কলে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'ভারত, আয়তনের দিক দিয়ে, উন্নয়নশীল বিশ্বে ভ্যাকসিনের বৃহত্তম সরবরাহকারী। কিন্তু বর্তমানে ভারতে করোনা ভাইরাসের নতুন ওয়েভের প্রকোপের জন্য ভারত সরকার টিকাকরণ কর্মসূচি বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এর অর্থ হল তাদের বেশি করে ভ।আকসিন ডোজের প্রয়োজন, যার জেরে গোটা বিশ্বের জন্য অল্প সংখ্যক ডোজ উপলব্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম যে মার্চ ও এপ্রিল মাসে ৯ কোটি ডোজ পাব, কিন্তু আমরা আশঙ্কা করছি এর চেয়ে অনেক অনেক কম ডোজ পাব এবং এটাই সমস্যা।'
ভ্যাকসিন সরবরাহে হতাশ গাভি
গাভি জোট একটি সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্ব যা উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ করে। বিশ্বের ৫০ শতাংশকে শিশুকে এরা ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। বার্কলে বলেছেন, 'কিন্তু আমরা এখন প্রতিযোগিতায় রয়েছি কারণ আমরা দেখেছি যে সমৃদ্ধশীল দেশগুলি শুধুমাত্র তাদের জনসংখ্যাকেই ভ্যাকসিন দিচ্ছে। আমাদের আশা ছিল, তারা তাদের টিকা সারা বিশ্বে উপলব্ধ করতে শুরু করবে, এমনকী যেগুলি ব্যবহার নাও করতে পারে সেগুলি সহ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় আমেরিকার শুধু মর্ডানা নয়, ফাইজার এবং জে অ্যান্ড জে ভ্যাকসিন রয়েছে, কিন্তু তারা নোভাভ্যাক্স ও অবশ্যই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে। এগুলি উপলব্ধ করা যেতে পারে এবং তারা বিশ্বের সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি বড় পার্থক্য তৈরি করবে।' বার্কলে এও জানিয়েছেন যে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভ্যাকসিন পাওয়া।
ভারতের ভ্যাকসিন সরবরাহ
বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধর গতমাসে জানিয়েছিলেন যে ভারত বিভিন্ন দেশে ৪৮১ লক্ষের বেশি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ডোজ পাঠিয়েছে, যার মধ্যে ৭৩.৫ লক্ষ ডোজ অনুদান সহায়তা হিসাবে সরবরাহ করা হয়েছে, ২৮৮.৪ লক্ষ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এবং ১১৯.১৬ লক্ষ ডোজ কোভ্যাক্সের জন্য।
একদিনে এক লক্ষের বেশি সংক্রমণ
সোমবার
একদিনে
ভারতে
করোনা
সংক্রমণ
ধরা
পড়েছে
১,০৩,৫৫৮টি।
যা
দেশজুড়ে
করোনা
রোগীর
সংখ্যা
বাড়িয়ে
দিয়েছে
১,২৫,৮৯,০৬৭-এ।
সোমবার
করোনায়
মৃত্যু
হয়েছে
৪৭৮
জনের
এবং
এই
নিয়ে
মোট
মৃতের
সংখষ্যা
,৬৫,১০১
জন।
ভোটের মুখে আয়কর তল্লাশি, তামিলনাড়ুতে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারবে এআইএডিএমকে-বিজেপি?